জীবননগর ধোপাখালী মসজিদের জমি নিয়ে বিরোধে মাদকাসক্ত যুবকের লঙ্কাকান্ড বৃদ্ধ চাচা আহত, এলাকায় চরম আতঙ্ক

জীবননগর অফিস:

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর   উপজেলার ধোপাখালী দক্ষিণপাড়ায় মসজিদের জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে মাদকাসক্ত যুবক লঙ্কাকান্ড ঘটিয়েছে। মসজিদে হামলা চালিয়ে মসজিদের বাথরুমের

দরজায়  ও প্রসবখানায় দা  দিয়ে কুপিয়ে  ভাংচুর করে  ক্ষতি সাধন  করে। মাদকাসক্ত  যুবক সবুজ হোসেনকে(৩৫) প্রতিহত করিতে গিয়ে বৃদ্ধ চাচা অমিদুল হক(৬৫) রক্তাক্ত জখম হয়েছে। ঘটনাটি রোববার সকাল ১০ টার দিকে সংঘটিত হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনার ব্যাপারে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

 জীবননগর উপজেলার ধোপাখালী দক্ষিনপাড়ার জামে মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান(৬৭) বলেন আমার গ্রামের মৃত সুমা উদ্দিনের ছেলে সবুজ হোসেন একজন

মাদকাসক্ত এবং বিবগত দিন ধরে এলাকাবাসীর জন্য এক আতঙ্কের নাম হয়ে উঠেছে।

এদিকে রোববার সকাল ১০ টার দিকে হঠাৎ করে সবুজ হোসেন কোনো রকম উস্কানি ছাড়াই মসজিদের জমি নিয়ে উত্তেজিত হয়ে মসজিদের পাকা বাথরুম ভাঙচুর করতে উদ্যত হন।

এই সময় তাকে বাধা দিতে গেলে তার চাচা অমিদুল ইসলাম ভাদুকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে বাম হাতে কোপ দেয়। ফলে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয় বৃদ্ধ অমিদুল হক।

পরে সবুজ তার হাতে থাকা লোহার শাবল দিয়ে বাথরুমের দরজা এবং প্রসাবখানায় কোপ দিয়ে ভাঙচুর চালান। এতে বাথরুমের টিন ও ইট-পাথর ভেঙে প্রায় ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।

এ ঘটনায়  স্থানীয়  প্রত্যক্ষদর্শীরা  জাহাঙ্গীর  আলম,সুজ্জল  হোসেন  এবং তোফাজ্জেল  হোসেন জানান, ঘটনার সময় সবুজ হোসেন ছিল মারাত্মকভাবে উত্তেজিত এবং আক্রমণাত্মক।

হঠাৎ করেই সে মসজিদের জমি তাদের দাবি করে মসজিদের বাথরুম ও প্রসবাখানায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে ক্ষতি সাধন করে।

হামলার শিকার অমিদুল ইসলাম বলেন,আমরা চার ভাই মিলে অনেক আগেই মসজিদের নামে জমি দিয়েছি। সেই জমির আমরা আর কোন ভাবেই মালিক না। কিন্তু হঠাৎ করে সবুজ হোসেন জমি দাবি

করে মসজিদের বাথরুম ও প্রসাবখানায় দা দিয়ে কুপিয়ে ভাংচুর করে। এ সময় আমি তার চাচা হিসাবে বাঁধা দিলে,সে নির্মম হয়ে আমাকে কোপ দিলে বাম হাত রক্তাক্ত জখম করে।

ভুক্তভোগীদের দাবি,ঘটনার পর থেকেই সবুজ হোসেন এলাকায় হাতে দা নিয়ে ঘোরাফেরা করছেন এবং বিভিন্নজনকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন

যার ফলে এলাকাবাসী চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। এমনকি কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। কারণ অভিযুক্তের আচরণ ক্রমশ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।

এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ  করে অভিযুক্ত সবুজ  হোসেনকে গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হোক, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন,আর না ঘটে এবং এলাকাবাসী স্বস্তিতে বসবাস করতে পারে।

এলাকার সচেতন মহলের দাবি,এই ধরনের সহিংস ও সন্ত্রাসমূলক আচরণ সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানো হচ্ছে।

পাশাপাশি সামাজিকভাবে এসব ব্যক্তিকে প্রতিহত করতে জনসচেতনতা ও ঐক্য প্রয়োজন।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন,ঘটনার ব্যাপারে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশি তৎপরতা শুরু হয়। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *