জীবননগর অফিস :-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে কৃষকদের দক্ষতা উন্নয়ন ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস।
মঙ্গলবার (৩ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জীবননগর উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এই কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়।
জীবননগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে
এবং ‘প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনরশিপ
অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার)’ প্রকল্পের সহযোগিতায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে কৃষকদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।
কংগ্রেসে আধুনিক কৃষি ব্যবস্থাপনা , জলবায়ু সহনশীল কৃষি চর্চা এবং বিষমুক্ত ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক(উদ্যান) দেবশীষ
কুমার দাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর অঞ্চলের পার্টনার প্রকল্পের
সিনিয়র মনিটরিং কর্মকর্তা শেখ সাজ্জাদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল আমীন। আরও উপস্থিত
ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন,
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জুয়েল রানা, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোহা. নূর আলম এবং অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা আরিফ হোসেন,জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা.মোস্তাফিজুর রহমান সুমন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা পাভেল রানা।
কৃষকদের পক্ষে বক্তব্য দেন নাঈমুর রহমান, পল্লব হোসেন ও মুক্তা খাতুন। বক্তারা বলেন, ‘গ্লোবাল গ্যাপ’ হলো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত
একটি মানসম্মত কৃষি অনুশীলন পদ্ধতি যা নিরাপদ,
পুষ্টিকর এবং টেকসই খাদ্য উৎপাদনকে উৎসাহিত করে।
তারা জানান, গ্লোবাল গ্যাপের আদলে বাংলাদেশেও ‘বাংলাদেশ গ্যাপ’ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এর মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের পাশাপাশি কৃষিপণ্য রপ্তানির নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে।
বক্তারা আরও বলেন, গ্যাপ ভিত্তিক চাষাবাদে শুধু উৎপাদন বাড়বে না, একই সঙ্গে নিশ্চিত হবে পরিবেশ সহনশীলতা, ভোক্তার স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং কৃষি শ্রমিকদের কল্যাণ।
অনুষ্ঠানটি শেষে কৃষকদের মাঝে গ্যাপ বিষয়ক প্রচারসামগ্রী বিতরণ করা হয় এবং অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
এই কংগ্রেসের মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও টেকসই কৃষি চর্চার প্রতি আগ্রহ ও সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান আয়োজকরা।