কোটচাঁদপুরে গ্যাসের চুলার আগুনে দগ্ধ গৃহবধূ, ঢাকায় চিকিৎসাধীন মোঃ আবু সাইদ শওকত আলী বিশেষ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের কুল্লাগাছা মোল্লাপাড়ায় গ্যাসচুলার আগুনে দগ্ধ হয়েছেন খাদিজা খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধূ। রবিবার (১৫ জুন) সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জানা গেছে, মিকাইল হোসেনের স্ত্রী খাদিজা খাতুন রবিবার সকালে রান্নাঘরের দরজা খুলে ভেতরে ঢোকার পর হঠাৎ গ্যাসের চুলায় আগুন ধরে যায়। আগুন নেভাতে গিয়ে তার হাত, পা ও মুখমণ্ডল দগ্ধ হয়। স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে যশোর জেনারেল হাসপাতাল হয়ে তাকে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। প্রতিবেশী বিউটি খাতুন বলেন, “খবর পেয়ে আমরা ছুটে গিয়ে দেখি খাদিজার হাত-পা ও মুখ পুড়ে গেছে। প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে, পরে জানতে পারি গ্যাসচুলার আগুনে এমনটা ঘটেছে।” খাদিজার স্বামী মিকাইল হোসেন জানান, “শনিবার রাতে রান্না শেষে গ্যাসচুলা বন্ধ করে ঘরের দরজা দিয়ে রাখা হয়েছিল। সকালে ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে রান্নাঘরের দরজা খুললে হঠাৎ চুলায় আগুন ধরে যায়। খাদিজার হাতে তখন কোনো আগুন ধরানোর সামগ্রী ছিল না। চুলার কাছে না যাওয়া সত্ত্বেও কীভাবে আগুন ধরল তা বুঝে উঠতে পারছি না।” এ অগ্নিকাণ্ডে ঘরে থাকা কিছু টাকা, চালের বস্তা ও অন্যান্য মালামাল পুড়ে গেলেও গ্যাস সিলিন্ডার ও চুলা অক্ষত রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশরাফুল ইসলাম জানান, “খাদিজার দুই পা, হাত ও মুখমণ্ডলে আংশিক দগ্ধ হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তার শরীরের প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে ধারণা করছি। উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোরে রেফার করা হয়, সেখান থেকে পরে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।” দুই সন্তানের জননী খাদিজার জীবন এখন বিপন্ন। পরিবার ও স্থানীয়রা তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছেন। তবে গ্যাসচুলা বন্ধ থাকা অবস্থায় কীভাবে এমন দুর্ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে রহস্য ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

আবু সাইদ শওকত আলী,বিশেষ প্রতিনিধি:-

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের কুল্লাগাছা মোল্লাপাড়ায় গ্যাসচুলার

আগুনে দগ্ধ হয়েছেন খাদিজা খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধূ। রবিবার (১৫ জুন) সকালে এ দুর্ঘটনা

ঘটে। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

জানা গেছে, মিকাইল হোসেনের স্ত্রী খাদিজা খাতুন রবিবার সকালে রান্নাঘরের দরজা খুলে

ভেতরে ঢোকার পর হঠাৎ গ্যাসের চুলায় আগুন ধরে যায়। আগুন নেভাতে গিয়ে তার হাত, পা ও

মুখমণ্ডল দগ্ধ হয়। স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য

কমপ্লেক্সে নেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে যশোর জেনারেল হাসপাতাল হয়ে তাকে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়।

প্রতিবেশী বিউটি খাতুন বলেন, “খবর পেয়ে আমরা ছুটে গিয়ে দেখি খাদিজার হাত-পা ও মুখপুড়ে গেছে।

প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে, পরে জানতে পারি গ্যাসচুলার আগুনে এমনটা ঘটেছে।

খাদিজার স্বামী মিকাইল হোসেন জানান, “শনিবার রাতে রান্না শেষে গ্যাসচুলা বন্ধ করে ঘরের দরজা

দিয়ে রাখা হয়েছিল। সকালে ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে রান্নাঘরের দরজা খুললে হঠাৎ চুলায় আগুন

ধরে যায়। খাদিজার হাতে তখন কোনো আগুন ধরানোর সামগ্রী ছিল না। চুলার কাছে না যাওয়া সত্ত্বেও কীভাবে আগুন ধরল তা বুঝে উঠতে পারছি না।”

এ অগ্নিকাণ্ডে ঘরে থাকা কিছু টাকা, চালের বস্তা ও অন্যান্য মালামাল পুড়ে গেলেও গ্যাস সিলিন্ডার ও চুলা অক্ষত রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশরাফুল

ইসলাম জানান, “খাদিজার দুই পা, হাত ও মুখমণ্ডলে আংশিক দগ্ধ হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে তার শরীরের প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ পুড়ে

গেছে বলে ধারণা করছি। উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোরে রেফার করা হয়, সেখান থেকে পরে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।”

দুই সন্তানের জননী খাদিজার জীবন এখন বিপন্ন। পরিবার ও স্থানীয়রা তার দ্রুত সুস্থতা কামনা

করছেন। তবে গ্যাসচুলা বন্ধ থাকা অবস্থায় কীভাবে এমন দুর্ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে রহস্য ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *