আবু সাইদ শওকত আলী,বিশেষ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার এক তরুণ শিক্ষার্থী নিজ উদ্যোগে প্লেন তৈরি করে এলাকায়
ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন। ড্রোন তৈরির সাফল্যের পর এবার আকাশে সফলভাবে প্লেন
উড়িয়ে তাক লাগিয়েছেন বলরামপুর গ্রামের সাকিব আল হাসান অঙ্কন (১৬)। তিনি এ বছর
কোটচাঁদপুর সরকারি পাইলট মাধ্যমিক
বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখা থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।
অঙ্কন পল্লী চিকিৎসক শওকত আলীর বড় ছেলে। ছোটবেলা থেকেই ইলেকট্রনিকস ও মেকানিক্যাল কাজে আগ্রহী এই শিক্ষার্থী নিজ হাতে বানিয়েছেন দুটি ড্রোন এবং সম্প্রতি একটি প্লেন।
পরীক্ষার ব্যস্ততার পরও ৪ মাস ধরে প্রতিদিন ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা সময় দিয়ে তিনি নিজের তৈরি প্লেনটি সম্পূর্ণ করেন।
সম্প্রতি স্থানীয় স্কুল মাঠে এটি আকাশে উড়িয়ে সবার নজর কাড়েন তিনি।
অঙ্কন জানান, “ছোটবেলা থেকেই যন্ত্রপাতি নিয়ে কাজ করতে ভালো লাগতো। ইউটিউবে ড্রোন দেখে তৈরি করার ইচ্ছে হয়। এরপর ২০২৪ সালে
দুটি ড্রোন তৈরি করি, যেগুলো সফলভাবে উড়েছিল। এবার ইচ্ছা ছিল প্লেন তৈরি করবো।
এসএসসি পরীক্ষা শেষে সেই কাজে মনোযোগ দিই এবং অবশেষে সফল হই।”
প্লেন তৈরির সরঞ্জাম সম্পর্কে তিনি জানান, পূর্বের ড্রোন থেকে ব্যবহৃত মোটর এবং ফ্লাই স্কাই
কন্ট্রোলার (FS-i6) প্লেন তৈরিতে কাজে লাগিয়েছেন। এছাড়াও, ব্যবহার করেছেন ৪টি
সার্ভো মোটর, ককসিট বডি, ১৪ কেবি ব্লাসলেস মোটর, ৮ ইঞ্চি প্রপেলার, পিএসসি, রিসিভার
আই-৬, ২২ এমপি আর লিকো ব্যাটারি, হার্ডবোর্ড, এসএস পাইপ, পিভিসি ট্যাব ও বার্বি জুতার হুইল।
তিনি বলেন, “প্লেন তৈরিতে ড্রোনের তুলনায় কম খরচ হয়েছে, কারণ পূর্বের কিছু যন্ত্রাংশ পুনরায় ব্যবহার করেছি।
তবে বড় পরিসরে বানিজ্যিকভাবে কিছু করতে গেলে সরকারি সহায়তা ছাড়া তা সম্ভব নয়।”
অঙ্কনের পিতা শওকত আলী বলেন, “সে ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি যন্ত্রপাতি নিয়ে ব্যস্ত থাকতো।
২০২৪ সালে একটি ড্রোন তৈরি করে উড়ায়। প্রথমে বিষয়টি ভালোভাবে নিইনি, তবে পরে
বুঝেছি ছেলের আগ্রহ ও মেধা অনেক। এখন সে প্লেন তৈরি করে আকাশে উড়িয়েছে, এতে আমরা গর্বিত।”
তিনি আরও বলেন, “সবকিছু নিজ প্রচেষ্টায় করেছে, আমি সামান্য কিছু সহায়তা করেছি।
সরকারের সহায়তা পেলে সে দেশের জন্য অনেক কিছু করতে পারবে।”
এ বিষয়ে মাঠে কাজ করা ট্র্যাক্টরচালক কলম হোসেন বলেন, “চাষের সময় হঠাৎ মাথার ওপর প্লেন উড়তে দেখি। পরে