বিশেষ প্রতিনিধি:-
চুয়াডাঙ্গা শহরের গুলশানপাড়া এলাকায় আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ভোরে সেনাবাহিনী ও
পুলিশের যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রসহ নাজমুল আরেফিন
কিরণ (৩২) নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
তিনি শহরের গুলশানপাড়ার মৃত জিন্নাত আলীর
ছেলে এবং জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচিত।
চুয়াডাঙ্গা সেনা ক্যাম্প সূত্রে জানা যায়, গোপন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আজ ভোররাতে
কিরণের বাড়িতে অভিযান চালায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা।
অভিযানে তার বসতঘরের বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে:-একটি থ্রি নট থ্রি রাইফেলের বডি (অংশবিশেষ),১৭টি দেশীয় তৈরি অস্ত্র,৩টি চাপাতি,৬টি বড় ছুরি,৩টি রামদা,৬টি তরবারি,একটি ল্যাপটপ,একটি মোবাইল ফোন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদুর রহমান জানান,
আটক নাজমুল আরেফিন কিরণকে প্রয়োজনীয় আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে থানায় হস্তান্তর করা
হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে এবং বৃহস্পতিবারই তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
এদিকে এ ঘটনায় শহরজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় একজন নেতার বাড়ি থেকে এত বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হওয়ায়
স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,
এ ঘটনার পেছনে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত চলছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গা ও আশপাশের এলাকায়
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এমন অভিযান আরও
চালানো হবে এবং কেউ কোনো অপরাধে জড়িত থাকলে রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনা না করে আইনের আওতায় আনা হবে।এই ঘটনায় জনমনে এক প্রশ্ন উঠেছে ছাত্ররাজনীতির ছত্রছায়ায় কীভাবে
ভয়াবহ অস্ত্র মজুত ও অপরাধ কর্মকাণ্ড গড়ে উঠছে? সমাজের সচেতন নাগরিকরা এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।