বিশেষ প্রতিনিধি,আবু সাইদ শওকত আলী
‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ এবং ‘জুলাই সনদ’
বাস্তবায়নের দাবিতে ঝিনাইদহে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
রোববার (২২ জুন) সকালে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ‘জুলাই যোদ্ধা সংসদ’ ঝিনাইদহ জেলা শাখার উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন জুলাই যোদ্ধা সংসদের জেলা শাখার সদস্য সচিব
রত্না খাতুন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের আহ্বায়ক আনিচুর রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝিনাইদহ জেলা শাখার সদস্য সচিব
সাইদুর রহমান, জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক হুমায়ুন কবির,
জুলাই যোদ্ধা রাহাত মিয়া, মাসুম বিল্লাহ, সাইফুল ইসলাম মানিকসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানান, ২০২৪ সালের গণআন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সরকারের পক্ষ
থেকে ঘোষিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রদানের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তার বাস্তবায়নের জন্য নির্ধারিত ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে এখন আর মাত্র ৩ কার্যদিবস বাকি রয়েছে।
অথচ এতদিনেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি চোখে পড়ছে না।
বক্তারা বলেন, “জুলাই ঘোষণাপত্র কোনো দল বা সংগঠনের একক দাবি নয়। এটি একটি গণদাবি। এর সাথে দেশের লাখো মানুষ ও মুক্তিকামী তরুণ প্রজন্মের আশা-আকাঙ্ক্ষা জড়িত।”
বক্তব্যে তুলে ধরা হয় তিন দফা দাবি: ১. অবিলম্বে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ ও বাস্তবায়ন
২. গণহত্যার বিচার শুরু এবং দায়ীদের আইনের আওতায় আনা
৩. অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়ার দৃশ্যমান সংস্কার
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব সাইদুর রহমান বলেন, “দেশে চলমান রাজনৈতিক
বৈচিত্র্য, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও প্রশাসনিক জবাবদিহিতার অভাবে সাধারণ জনগণ হতাশ।
আমাদের দাবি, সরকার যেন প্রতিশ্রুত ঘোষণাগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জনআস্থা ফিরিয়ে আনে।”
সংগঠনের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি:
সরকার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হলে আগামী দিনগুলোতে দেশব্যাপী
বিক্ষোভ, গণসমাবেশসহ আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান সংগঠনের নেতারা।
এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানান, দেশের ইতিহাসে ‘জুলাই আন্দোলন’ একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
এই আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের যে স্বপ্ন, আত্মত্যাগ ও রক্তের দাবি উঠে এসেছে, তার প্রতিদান দিতে সরকারকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনের শেষে নেতৃবৃন্দ সকল গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ ও নাগরিকদের পাশে থাকার আহ্বান জানান,
যেন এই দাবিগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশে একটি সুবিচার ও গণতান্ত্রিক কাঠামো প্রতিষ্ঠিত হয়।