জীবননগর অফিস:-
দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের ঐহিত্যবাহী বৃহত্তম পশুহাট চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার শিয়ালমারী।
দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পশুহাটটি অবশেষে চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি দরপত্র
আহবান করা হয়। কিন্তু হাটটির ইজারাদার শেষ পর্যন্ত দরপত্রের টাকা পরিশোধ করতে না পারায়
কর্তৃপক্ষ খাস কালেকশনের মাধ্যমে খাজনা আদায় করছেন। তবে এ ব্যাপারে পক্ষে বিপক্ষে নেই কোন অভিযোগ আপত্তি।
বৃহস্পতিবার থেকে খাস কালেকশনের মাধ্যমে আদায় শুরু হয়েছে। খাস কালেশনের মাধ্যমে
আদায়কৃত টাকা সরকারের কোষাগারে যথারীতি জমা প্রদান করা হচ্ছে।
সরকারী হাট বাজার সমুহের ব্যবস্থাপনা ও ইজারা নীতি মালা অনুযায়ী জীবননগর উপজেলার
শিয়ালমারী সাপ্তাহিক পশুহাটটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক দরপত্র আহবান করা হয়।
পশুহাটটি সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকায় ইজারাদার হিসাবে প্রাপ্ত হন
জীবননগর থানা বিএনপির সাংগাঠনিক সম্পাদক সন্তোষপুর গ্রামের আলতাব হোসেন। কিন্তু তাকে ভ্যাটসহ প্রায় ৫ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে সরকারকে।
এ অবস্থায় ইজারা গ্রহণকারী আলতাব হোসেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইজারার সমস্ত টাকা
পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন। ফলে শুরু হয় আইনি জটিলতা। এ অবস্থায় ইজারা গ্রহনকারী আলতাব হোসেন বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন।
আদালত তাকে সমুদয় টাকা পরিশোধের জন্য ৬ সপ্তাহ সময় বর্ধিত সময় প্রদান করেন। কিন্তু তিনি
আদালতের দেয়া ৬ সপ্তাহের মধ্যেও টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন।
এমন পরিস্থিতিতে সরকার হাটের খাজনা আদায় অব্যাহত রাখতে খাস কালেকশন পদ্ধতি
চালুকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিয়ালমারী পশুহাটের খাজনা
আদায়ের জন্য কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার জীবননগর থানা ও পৌর বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদ ও
সামসুজ্জামান ডাবলু এবং দর্শনার মুকুল শাহদেরকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তারা দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার বিধি
মোতাবেক হাটের খাস কালেকশন করেন এবং কর্তৃপক্ষের পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেয়া পর্যন্ত খাস কালেকশন অব্যাহত থাকবে।
বিগত বছরগুলোতেও আইনি জটিলতার কারণে খাস কালেকশনের মাধ্যমেই খাজনা আদায় করা হতো।
আলতাব হোসেন বলেন,শিয়ালমারী পশুহাটটি আমার নামেই আছে। সরকার এখনও ইজারা
বাতিল করেনি। তবে আমি ইজারার পুরো টাকা পরিশোধ করতে না পারাই, আমাকে খাজনা আদায় থেকে বিরত রাখা হয়েছে।
আমি প্রায় আড়াই কোটি টাকা ইতিমধ্যেই জমা দিয়েছি। এখন শেষ পর্যন্ত কি হয় পরে জানা
যাবে। এদিকে খাস কালেকশনকারীদের মধ্যে অন্যতম সামসুজ্জামান ডাবলু বলেন,আমরা বিধি
মোতাবেক শিয়ালমারী পশুহাটে খাস কালেকশনের মাধ্যমে খাজনা আদায় করছি।
পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আমরাই খাস কালেকশন চালিয়ে যাবো।
জীবননগর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আল আমীন বলেন,শিয়ালমারী পশুহাটের খাজনা খাস কালেকশনের মাধ্যমে আদায় করা হচ্ছে।
পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহন না করা পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে।