রিমন হোসেন, মহেশপুর প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের অভিযোগে নারী ও শিশু সহ ১৩
জনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এছাড়াও পৃথক অভিযানে মাদকসহ
একজনকে আটক এবং ভারতীয় মদ জব্দ করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ জুন) রাতে মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত
কোয়ার্টার মাস্টার মুন্সী ইমদাদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, বিজিবির খোসালপুর, কুসুমপুর ও পলিয়ানপুর বিওপির টহল দল
সীমান্তে অভিযান চালিয়ে এসব ব্যক্তিদের আটক করে। তারা অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে
ও ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। আটককৃতদের মধ্যে ৩ জন শিশু
, ৪ জন নারী ও ৬ জন পুরুষ রয়েছেন।
আটককৃতদের পরিচয় পাওয়া গেছে নিম্নরূপ:সুশীল চন্দ্র দাস (৩৩),
পিতা বনমালী দাস, গ্রাম আন্দিরপাড়, থানা মনপুরা, জেলা ভোলা,দেলোয়ার প্রধান (৬৬), গ্রাম ছোটকলোনী, থানা শার্শা,
জেলা যশোর,সমীর মন্ডল (৪০), পিতা অধীর কুমার মন্ডল, গ্রাম পাঁচকাটিয়া, থানা মনিরামপুর, জেলা যশোর,
মোস্তফা হোসেন (২৪), পিতা বদিয়ার রহমান, গ্রাম দহিতলা, থানা কোতোয়ালি,
জেলা যশোর,হম্মেদ আলী (৩৩), পিতা আব্দুল মজিদ, গ্রাম ধান্যখোলা, থানা জীবননগর, জেলা চুয়াডাঙ্গা
অন্যদিকে, বেনীপুর বিওপি’র পৃথক অভিযানে ৭০০ গ্রাম গাঁজাসহ কাশেদ আলী (২৫) নামে একজনকে আটক করা হয়।
তিনি চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হরিহরনগর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে।
এছাড়া যাদবপুর বিওপির মাদকবিরোধী অভিযানে ৯৪ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ করা হয়,
যা সীমান্ত এলাকা দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে প্রবেশ করানো হচ্ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আটককৃতদের বিষয়ে মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন,
“আটককৃতদের মধ্যে দুইজনকে ‘জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার’ নামক সেবামূলক কেন্দ্রে পাঠানো
হয়েছে। চারজন পুরুষের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তাদের বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহ আদালতে পাঠানো হবে।
বাকি নারী ও শিশুদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জীবননগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।”
এদিকে বিজিবি জানায়, সীমান্তে চোরাচালান ও অবৈধ পারাপার রোধে নিয়মিত অভিযান
পরিচালনা করা হচ্ছে। সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং মাদক ও মানবপাচার রোধে কড়া নজরদারি চলছে।
উল্লেখ্য, সীমান্ত এলাকায় নারী ও শিশুদের জড়িয়ে পড়া উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে।
স্থানীয় প্রশাসন ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ ধরনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে,
সীমান্ত অঞ্চলে সচেতনতা বৃদ্ধি ও বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরি না হলে এ ধরনের ঘটনা রোধ করা কঠিন হবে।