বিশেষ প্রতিনিধি:
বাগেরহাট জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ-এর দক্ষ নেতৃত্বে পরিচালিত এক
যৌথ অভিযানে ৪টি বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও গুলি, দেশীয় অস্ত্র এবং একটি মাইক্রোবাসসহ ১১
জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ।
আটককৃতদের মধ্যে ৬ জনের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলায়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২৬ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে গোপন
সংবাদের ভিত্তিতে বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি),
সাইবার ক্রাইম টিম, মোল্লাহাট থানা পুলিশ এবং জেলা বিশেষ শাখা (ডিএসবি)-এর মোল্লাহাট
জোনের যৌথ একটি দল অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান চলাকালে খুলনা-ঢাকা মহাসড়কের মোল্লাহাট টোল প্লাজার সামনে একটি হাইএস
মাইক্রোবাস থামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়।
তল্লাশিকালে মাইক্রোবাসে থাকা যাত্রীদের দেহ ও মালপত্র থেকে ৪টি বিদেশি পিস্তল,
৪টি ম্যাগাজিন, ১০ রাউন্ড গুলি, ১টি ‘সেভেন গিয়ার’ চাকু, একটি ক্ষুর, একটি ধারালো দা ও
ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের নাম ও পরিচয়:-১। কাউসার আলী (৪৩), কানাইডাঙ্গা, মহেশপুর, ঝিনাইদহ
২। মো. মেহেদী হাসান (২৩), বাসুদেবপুর, হরিণাকুন্ডু, ঝিনাইদহ ৩। আতাউর রহমান (৩০), কানাইডাঙ্গা, মহেশপুর, ঝিনাইদহ
৪। মো. খোকন বিশ্বাস (৪৫), সাবেক বিন্দু, হরিণাকুন্ডু, ঝিনাইদহ ৫। খোকন মিয়া (৩৫),
সড়াবাড়ি, হরিণাকুন্ডু, ঝিনাইদহ ৬। আবুল হোসেন (৪৩), ধান্যহরিয়া,মহেশপুর, ঝিনাইদহ
৭। মো. ইমদাদুল হক (৩১), ধান্যহরিয়া, মহেশপুর, ঝিনাইদহ ৮। জনি মিয়া (২৭),
গয়েশপুর, মহেশপুর, ঝিনাইদহ ৯। সেলিম শাহ (৩৪), সাবেক বিন্দু, হরিণাকুন্ডু, ঝিনাইদহ ১০।
মাসুম পারভেজ (২২), ধান্যহাড়িয়া, মহেশপুর, ঝিনাইদহ ১১। প্রসেনজিৎ চন্দ্র দাশ, হামদো
মোড়, ঝিনাইদহ সদর, ঝিনাইদহ
অপরাধ পরিকল্পনা:
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, গ্রেফতারকৃতরা সংঘবদ্ধভাবে বড় কোনো সন্ত্রাসী
কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্যে বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র বহন করে ঝিনাইদহ থেকে বাগেরহাটে আসছিল।
তাদের গতিবিধি ও অবস্থান নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থা আগেই নজরদারিতে রেখেছিল।
আইনি ব্যবস্থা:
ঘটনার বিষয়ে বাগেরহাটের মোল্লাহাট থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ।
পুলিশ সুপারের বক্তব্য:
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ বলেন, “দেশব্যাপী সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক ভেঙে দিতেবা গেরহাট জেলা পুলিশ সবসময় প্রস্তুত।
জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
এই সফল অভিযানে জেলার সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
স্থানীয়দের মতে, সময়োচিত ও সাহসী পদক্ষেপের মাধ্যমে একটি বড় ধরনের অপরাধ ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে বাগেরহাট জেলা পুলিশ।