আবু সাইদ শওকত আলী,বিশেষ প্রতিনিধি:-
ঝিনাইদহ জেলা শহরে বহু প্রত্যাশিত রেললাইন, সরকারি মেডিকেল কলেজ এবং পাবলিক
বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবিতে বর্ণাঢ্য মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। রোববার (২৯ জুন) সকালে
শহরের প্রাণকেন্দ্র পায়রা চত্বরে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে
“ঝিনাইদহ জেলা রেললাইন-মেডিকেল কলেজ বাস্তবায়ন কমিটি”।
ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচিতে জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, রাজনৈতিক, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।
শিক্ষার্থী, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সরব উপস্থিতিতে পায়রা চত্বর রীতিমতো দাবি আদায়ের প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন,জেলা রেললাইন-মেডিকেল কলেজ বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও
সাবেক উপাধ্যক্ষ এন. এম. শাহজালাল,সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান পিন্টু,জেলা মানবাধিকার
বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও সাবেক অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান টুকু,জেলা বিএনপির সাংগঠনিক
সম্পাদক সাজেদুর রহমান পপ্পু,রেললাইন বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ ওরফে রেল আব্দুল্লাহ,উই (উদ্যমী নারী ইমপ্যাক্ট) এর নির্বাহী পরিচালক শরিফা খাতুনসহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন,ঝিনাইদহ জেলার প্রায় ২৫ লাখ মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা একটি সরকারি
মেডিকেল কলেজ, একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং একটি কার্যকর রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। আশপাশের জেলাগুলিতে এসব অবকাঠামো থাকলেও ঝিনাইদহ
আজও বঞ্চিত।” তারা বলেন, জেলার ভৌগোলিক অবস্থান, জনসংখ্যা ও সম্ভাবনা বিবেচনায় এই তিনটি স্থাপন অত্যন্ত জরুরি।
বক্তারা আরও বলেন,“রেললাইন চালু হলে জেলার কৃষিপণ্য, শিল্প এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে বিপ্লব ঘটবে।
”“সরকারি মেডিকেল কলেজ না থাকায় প্রতিবছর অসংখ্য মেধাবী শিক্ষার্থী অন্য জেলায় গিয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে বাধ্য হয়।”
একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হলে জেলার উচ্চশিক্ষা কাঠামোয় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।”
তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই এ দাবি জানানো হলেও সরকারিভাবে এখনো কোনো কার্যকর উদ্যোগ চোখে
পড়েনি। বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দাবি মানা না হলে আগামীতে জেলার সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে
বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এই কর্মসূচি জেলার নাগরিক সমাজে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এবং সামাজিক মাধ্যমে
ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। বক্তারা সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং দাবি
বাস্তবায়নের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।