জীবননগরে পথসভায় কল্যাণরাষ্ট্র গঠনের অঙ্গীকার জামায়াত নেতা রুহুল আমিনে

জীবননগর অফিস:-

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের  সম্ভাব্য  সংসদ  সদস্য  প্রার্থী ও জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. রুহুল আমিন কল্যাণরাষ্ট্র গঠনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।

শনিবার (২৯ জুন) জীবননগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আয়োজিত একাধিক পথসভায় তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।

রুহুল আমিন বলেন, আমরা এমন একটি সমাজ গড়তে চাই যেখানে কেউ অনাহারে থাকবে না, বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করবে না, চাকরির জন্য ঘুষ

দিতে হবে না এবং কেউ বস্ত্রহীন থাকবে না। আমরা রাজনীতি করি মানুষের কল্যাণের জন্য, নিজেদের স্বার্থে নয়।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই একটি বৈষম্যহীন সমাজ, যেখানে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং সবার অধিকার সুরক্ষিত থাকবে।

জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা নিয়েই আমরা এগিয়ে যেতে চাই।”

এইদিন সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত জীবননগরের বিভিন্ন এলাকায় পথসভাগুলো অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম পথসভা অনুষ্ঠিত হয় মাগরিবের নামাজের পর আন্দুলবাড়ীয়া

ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামে। এরপর রাত ৮টায় উথলী ইউনিয়নের রেলগেট এলাকায়, রাত ৮টা ২০ মিনিটে

উথলী রেল স্টেশনসংলগ্ন বাজারে এবং সর্বশেষ বাদ এশা ডুমুরিয়া গ্রামে পথসভা করেন রুহুল আমিন।

প্রতিটি সভায় স্থানীয় জনসাধারণ ও দলীয় নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য।

নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহ ও উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যায়।

পথসভাগুলোতে মো. রুহুল আমিনের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট

আসাদুজ্জামান, তারবিয়াত সম্পাদক মো. জিয়াউল হক, জেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা

ইসরাইল হোসেন, তালিমুল বিভাগের সভাপতি মাওলানা মহিউদ্দিন, মাজলিসুল মোফাসসিরিনের

সভাপতি মাওলানা হাফিজুর রহমান, উপজেলা আমির মাওলানা সাজেদুর রহমান, নায়েবে আমির হাফেজ

বেলাল হোসেন, সেক্রেটারি মো. সাখাওয়াত হোসেন, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক ও প্রচার ও আইটি সম্পাদক মো. হারুন অর রশীদসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

পথসভাগুলোতে বক্তারা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক সংকট এবং সামাজিক

অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন এবং

ইসলামভিত্তিক কল্যাণরাষ্ট্র গঠনে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

স্থানীয় জনগণ নেতাকর্মীদের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং অনেকেই জানান, তারা পরিবর্তনের

আশায় এমন একটি রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেন যেখানে ন্যায়, মানবিকতা ও জবাবদিহিতা থাকবে।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রুহুল আমিনের এমন গণসংযোগ ও বার্তা ভোটারদের মধ্যে

নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনের তার অঙ্গীকার আগামী দিনের রাজনীতিতে

কতটা প্রভাব ফেলবে, তা সময়ই বলে দেবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *