জীবননগর অফিস:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর বাজারের মকছুদ মার্কেটে একটি জুয়েলারি দোকানে কর্মরত দুই কর্মচারীর
বিরুদ্ধে মালিকের সোনাসহ মালামাল ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার গুরুতর অভিযোগ
উঠেছে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সাহিদ হোসেন ঘটনার এক সপ্তাহ পর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জানা যায়, জীবননগর বাজারের মকছুদ মার্কেটের ‘খান জুয়েলার্স’ নামক প্রতিষ্ঠানের মালিক
উপজেলার মনোহরপুর দক্ষিণপাড়ার ফজলুল হকের ছেলে সাহিদ হোসেন (৪২) ।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে উক্ত দোকানের মাধ্যমে স্বর্ণ ও অলংকারের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।
ব্যবসায়ী সাহিদ হোসেনের অভিযোগ, তার প্রতিষ্ঠানটিতে ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা
উপজেলার আকাশ হোসে(৩০) এবং পাবনা জেলার মেহেদী হাসান(৪০) নামের দু’জন
কর্মচারি যথাক্রমে এক বছর ও ছয় মাস ধরে কাজ করে আসছিলেন।
তিনি জানান, গত ২৫ জুন সকাল ১০টার দিকে তিনি দোকানে এসে দেখতে পান,কর্মচারীরা কেউ উপস্থিত নেই।
দোকানের ভেতরের মালামাল এলোমেলো, ক্যাশ
কাউন্টার ও আলমারির তালা খোলা এবং মূল্যবান স্বর্ণালংকার ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নেই।
দোকান থেকে এক ভরি সোনা ও বেশ কিছু যন্ত্রাংশের কোনো হদিস মিলছিল না।
সাহিদ হোসেন আরো জানান, ঘটনার পরপরই তিনি উক্ত কর্মচারীদের সাথে যোগাযোগ
করেন। প্রাথমিকভাবে তারা কয়েক দিনের মধ্যে মালামাল ও পাওনা টাকা ফিরিয়ে দেয়ার আশ্বাস
দেন। কিন্তু পরবর্তীতে তারা মোবাইল ফোন বন্ধ করে আত্মগোপনে চলে যান এবং আর কোনো যোগাযোগে সাড়া দেননি।
ব্যবসায়ীর দাবি, আকাশ হোসেনের নিকট ৫৬ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে এবং মেহেদী হাসানের
কাছে রয়েছে এক ভরি সোনা ও দোকানের বেশ কয়েকটি মূল্যবান যন্ত্রপাতি। এ ঘটনায় তিনি
মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এবং তার চলমান ব্যবসা
হুমকির মুখে পড়েছে বলে জানান।
জীবননগর উপজেলা জুয়েলারি মালিক সমিতির সাবেক সাধারন সম্পাদক সেলিম উদ্দিন ঘটনার
সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,ঘটনাটি খুবই দু:খজনক।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারিদের নিকট মালিকেরা বিশ্বাস করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সব দায়দায়িত্ব
তাদের ওপর দেয়। আর এই সুযোগে যদি তারা মালিকের ধ্বংস করে তাহলে ব্যবসা করা তো মুসকিল।
এ বিষয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী মহলে ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।
তারা দ্রুত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন,ঘটনার ব্যাপারে ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পরে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তাৎক্ষণিক ভাবে ভুক্তভোগী আমাদেরকে কোন কিছু না জানিয়ে নিজেই চেষ্টা চালিয়েছেন।
তবে ঘটনার ব্যাপারে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।