জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার  জীবননগর  উপজেলার  গোয়ালপাড়া মসজিদপাড়ায় পরকীয়া প্রেমিক জুঁটিকে আটকের

ঘটনায় এক ব্যক্তিকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে গোয়ালপাড়া মাঠে সংঘটিত হয়েছে।

এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার ভাসুর জামালহোসেন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া মসজিদপাড়ার মৃত ফকির চাঁদের

ছেলে ভুক্তভোগী ভ্যান চালক জামাল হোসেন (৪৭) জানান, তার মৃত ভাই কামাল হোসেনের স্ত্রী

দুই সন্তানের জননী ময়না খাতুন (৩৫) দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী মৃত সবজেল হালসানার ছেলে

মমিন হোসেনের (৪০) সাথে গোপন সম্পর্ক
বজায় রেখে আসছিলেন।

বিষয়টি নিয়ে এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে নানা গুঞ্জন চলছিল,যা তাদের পরিবারের জন্য সামাজিক ভাবে বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছিল।

এ অবস্থায় শুক্রবার(২৮ জুন) রাত ৮টার দিকে গ্রামের মাঠে স্থানীয় কয়েকজন লোক ময়না খাতুন ও মমিন হোসেনকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করেন।

খবর পেয়ে জামাল হোসেন ঘটনাস্থলে গেলে তিনি প্রকাশ্যে এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের
প্রতিবাদ জানান।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত মমিন হোসেন এবং তার সহযোগী একই গ্রামের বাবর আলী (২০) জামাল হোসেনকে বেধড়ক মারধর করে।

এতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোলা ও জখম হয় বলে তিনি দাবি করেন।

ভুক্তভোগী আরও জানান, ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা তাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি

দিয়ে আসছে। এতে তিনি এবং তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

এ বিষয়ে প্রতিবেশী ইসমাইল হোসেন

বলেন,বিষয়টি আমরা দেখেছি,এমন কিছু ঘটেছে। এখন সামাজিক ভাবে সমাধান না হলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দরকার।

  মমিন হোসেন ও ময়না খাতুন একে অপরকে বিয়ে করেছে দাবি করলেও তারা কোন বৈধ

কাগজপত্র দেখাতে পারিনি। তারপরও মমিনের বড় ভাই শাহিন হোসেন ঘটনাস্থল থেকে

ময়না খাতুনে তাদের বউ দাবি করে বাড়ীতে নিয়ে তোলে।

কিন্তু ময়না খাতুনের ছেলে পরবর্তীতে আবার ময়নাকে তাদের বাড়ীতে নিয়ে যায়।

অভিযুক্ত ময়না খাতুনের কলেজ পড়ুয়া ছেলের দাবি তার মা ময়না খাতুন মমিনের নিকট পাওনা

টাকা আনতে গিয়েছিল। তার মায়ের সাথে

মমিনের কোন অনৈতিক সম্পর্ক নেই। একটি মহল আমাদের সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে।

ভুক্তভোগী জামাল হোসেন জানান, তিনি বিষয়টি জীবননগর থানায় লিখিত ভাবে জানাবেন এবং

দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আব্দুস সামাদ বলেন,ঘটনার সময়

আমি বাড়ীতে ছিলাম না। তবে গ্রামের মানুষের মধ্যে ঘটনার বিষয়টি গুঞ্জন রয়েছে।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন,লিখিত অভিযোগ পাওনা গেছে।

তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *