কোটচাঁদপুরে ৩৫ দিনব্যাপী মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন ইসলামী শিক্ষার দক্ষতা বৃদ্ধিতে তালিমুল কুরআন ফাউন্ডেশনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

আবু সাইদ শওকত আলী,বিশেষ প্রতিনিধি:

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে তালিমুল কুরআন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ৩৫ দিনব্যাপী মুয়াল্লিম

(ইসলামী শিক্ষক) প্রশিক্ষণ কোর্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার (৮ জুলাই) সকাল

৮টায় কোটচাঁদপুরের আল-ফালাহ ইসলামী সেন্টারে এ কোর্সের সূচনা হয়। কোর্সটি পরিচালনা করছে ফাউন্ডেশনের কোটচাঁদপুর শাখা।

ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন দেশের শীর্ষ ইসলামি চিন্তাবিদরা

প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রশিক্ষণ কোর্সের শুভ উদ্বোধন করেন মাওলানা আজিজুর

রহমান, উপদেষ্টা, তালিমুল কুরআন ফাউন্ডেশন (যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল)।

প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন আলী আজম মোঃ আবু বকর, প্রধান উপদেষ্টা, তালিমুল কুরআন

ফাউন্ডেশন (ঝিনাইদহ জেলা)। তিনি বলেন, “আজকের সমাজে আলেমদের নৈতিক দিক

নির্দেশনায় প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি, আর এ ধরনের কোর্স সেই লক্ষ্যেই কার্যকর ভূমিকা রাখবে।”

বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন

মাওলানা আব্দুর রহিম, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা, তালিমুল কুরআন ফাউন্ডেশন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন,অধ্যাপক মতিয়ার রহমান, জেলা শাখার উপদেষ্টা,অধ্যক্ষ আব্দুল হাই, বিশিষ্ট ইসলামি শিক্ষাবিদ,মাওলানা তাজুল ইসলাম, কোটচাঁদপুর থানা উপদেষ্টা।

 সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুহাদ্দিস রবিউল ইসলাম, চেয়ারম্যান, তালিমুল কুরআন ফাউন্ডেশন (ঝিনাইদহ জেলা শাখা)। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মাওলানা শহিদুজ্জামান, কেন্দ্রীয় প্যানেলের উস্তাদ।

 প্রশিক্ষণের লক্ষ্য ও কার্যক্রম

৩৫ দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কোর্সের লক্ষ্য হলো মুয়াল্লিমদেরকে আধুনিক, প্রাসঙ্গিক ও সময়োপযোগী ইসলামী শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া।

কুরআন তিলাওয়াত, হাদীস অধ্যয়ন, তাজবিদ, ইসলামী দাওয়াত, সীরাত, পাঠদানের কৌশল এবং

শ্রেণিকক্ষ ব্যবস্থাপনা—এই কোর্সের মূল বিষয়বস্তু।

কোর্সে অংশগ্রহণ করছেন কোটচাঁদপুরসহ

আশেপাশের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৫০ জন ইসলামি শিক্ষক। প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের সনদ প্রদান করা হবে।


 উপসংহার

তালিমুল কুরআন ফাউন্ডেশনের এই প্রশিক্ষণ কোর্স কোটচাঁদপুরে ইসলামি শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং

আলেম সমাজকে আধুনিক চিন্তাধারায় প্রশিক্ষিত করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন

আয়োজকরা। এ ধরনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়লে ইসলামী শিক্ষা

আরও কার্যকর ও যুগোপযোগী হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *