আবু সাইদ শওকত আলী,বিশেষ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আপন ভাগ্নের হাতে খুন হয়েছেন
মামা। শুক্রবার (৪ জুলাই ২০২৫) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার খুলুমবাড়ি বাজার সংলগ্ন গড়াই
নদীর ঘাট এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার
কেওয়াগ্রামের বাসিন্দা আক্কু্বার খান (৬৫)।
অভিযুক্ত ভাগ্নের নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা না গেলেও, তার বাড়ি শৈলকুপা উপজেলার সাহবাড়িয়া গ্রামে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আক্কু্বার খান পারিবারিক জমি সংক্রান্ত পুরনো বিরোধ মেটাতে
ভাগ্নের সঙ্গে আলোচনার জন্য নৌকায় করে খুলুমবাড়ি বাজারে আসেন। গড়াই নদীর ঘাটে
পৌঁছানোর পরপরই মামা-ভাগ্নের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। একপর্যায়ে তীব্র বাকবিতণ্ডা চলাকালীন আক্কু্বার
খান চলে যেতে চাইলে ক্ষিপ্ত ভাগ্নে তার গলায় গামছা পেঁচিয়ে ধরে টানতে টানতে নিজের বাড়ির দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এতে শ্বাসরোধে ঘটনাস্থলেই মারা যান আক্কু্বার খান।
ঘটনার পরপরই এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে
পড়ে। স্থানীয়রা দ্রুত ছুটে এসে পুলিশকে খবর দেন। শৈলকুপা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার
করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহসিন হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,
“জমিজমা সংক্রান্ত পুরনো বিরোধ থেকেই এ
হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। অভিযুক্ত ভাগ্নেকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।”
নিহতের পরিবার জানায়, আক্কু্বার খান সহজ-সরল প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। জমি নিয়ে ভাগ্নের সঙ্গে তার
দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল, তবে তারা কখনও ভাবেননি এ বিরোধের পরিণতি এমন মর্মান্তিক হবে।
এ ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে।
অনেকেই দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে
এবং এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত পালিয়ে থাকলেও তাকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।