আবু সাইদ শওকত আলী,বিশেষ প্রতিনিধি:-
খোকসা উপজেলার বনগ্রাম খেয়াঘাটের ইজারা নিয়ে পুরাতন ও নতুন ইজারাদারদের মধ্যে বিরোধের জেরে
এক সালিশি বৈঠকে মোঃ ফিরোজ হোসেন (৪৫) নামের এক স্থানীয় সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা
ঘটেছে। আহত সাংবাদিক বর্তমানে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে তার নিজ বাড়িতে এখন অবস্থান করছেন ।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, বনগ্রাম খেয়াঘাট পূর্বে ইজারা নিয়েছিলেন স্বরজিত মাঝি (৫০), পিতা-মৃত গোপাল মাঝি। ঘাটের নতুন ইজারাদার হিসেবে দায়িত্ব নেন,
খোকসা, কমলাপুর গ্রামের মৃতঃ মোহাম্মদ হোসেন এর ছেলে মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, ঘাটে নৌকা
চালানো নিয়ে পুরাতন ইজারাদার স্বরজিত মাঝিকে বাধা দেন মোয়াজ্জেম হোসেন, যা ঘাট এলাকার মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় ৪ জুলাই শুক্রবার বিকাল ৪ টা ৩০ মিনিটে স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল
আজিজ ও খোকসা উপজেলা যুবদল এর যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আবু হেনা লুলুর উপস্থিতে বৈঠক
চলাকালীন সময়ে নতুন ইজারাদার কৃত মোয়াজ্জেম হোসেন এর ভাই সাংবাদিক মোঃ ফিরোজ হোসেন,
যিনি দৈনিক “পথযাত্রা” পত্রিকার প্রতিনিধি, তার মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করছিলেন। এতে
উপস্থিত লোকজন আপত্তি জানালে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা তাকে প্লাস্টিকের চেয়ার ও কিলঘুষি মেরে আহত করে।
পরবর্তীতে তার ভাই মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন আহত সাংবাদিক ফিরোজ হোসেনকে উদ্ধার করে প্রথমে
খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত
চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের এ ধরনের ঘটনা খোকসা প্রেস ক্লাব এর সাধারণ
সম্পাদক মোঃ সাইদুল ইসলাম প্রবীন সহ অনেক গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট মহলে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি
করেছে। হামলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে।