গঞ্জেরখবর ডেস্ক :-
বাংলা লোকসংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী ও ‘লালন-সম্রাজ্ঞী’ খ্যাত ফরিদা পারভীন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায়
বর্তমানে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি লিভার জটিলতা, ডায়াবেটিস এবং কিডনি রোগে ভুগছেন।
বর্তমানে তাঁর নিয়মিত ডায়ালাইসিস চলছে—প্রতি সপ্তাহে তিনবার।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফরিদা
পারভীনের চিকিৎসা ‘অর্থাভাবে ব্যাহত হচ্ছে’—এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে, যা নিয়ে চরম ক্ষোভ ও দুঃখ
প্রকাশ করেছে তাঁর পরিবার। এই বিষয়ে তার একমাত্র সন্তান ইমাম ফাজর নোমানী গণমাধ্যমকে
জানান, “আমার মা গুরুতর অসুস্থ, প্রতিনিয়ত চিকিৎসার মধ্যেই রয়েছেন। তবে কিছু অসত্য ও
বিভ্রান্তিকর খবর তার শারীরিক ও মানসিক অবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।”
নোমানী আরও জানান, “সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতার প্রস্তাব এলেও মা ফরিদা পারভীন
সম্মানের জায়গা থেকে কোনও অনুদান গ্রহণ করতে চান না। বরং তিনি চান, এই অনুদান যেন অসহায় ও
দুস্থ শিল্পীদের চিকিৎসা ও সহায়তায় ব্যয় করা হয়। আমাদের পারিবারিকভাবে যে চিকিৎসা প্রয়োজন,তা
আমরা নিজেরাই বহন করছি এবং করবো।”
লোকসংগীতের এই বরেণ্য শিল্পী ১৯৮৭ সালে একুশে পদক পান। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে লালন সংগীতকে জাতীয়
ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিচিত করে তুলেছেন। ফরিদা পারভীনের এমন অবস্থান তাঁর শিল্পীসত্তার
পাশাপাশি তাঁর মানবিক ও আত্মমর্যাদাশীল মনোভবনাকেও স্পষ্ট করে তুলে ধরে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটেছে। চিকিৎসকরা নিবিড় পর্যবেক্ষণে
রেখেছেন এই গুণী শিল্পীকে। ইমাম ফাজর নোমানী দেশবাসীর কাছে মায়ের সুস্থতার জন্য দোয়া ও প্রার্থনার আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলা লোকসংগীতের আকাশে উজ্জ্বল এই নক্ষত্র যেন আবারও আলোর ঝলকানিতে ফিরতে পারেন,এটাই এখন কোটি শ্রোতার প্রার্থনা।