ঝিনাইদহে ঘুরতে গিয়ে ‘কট’, অতঃপর প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন

বিশেষ প্রতিনিধি:-ঝিনাইদহে ঘুরতে গিয়ে বিয়ে, এরপর প্রেমিকের উদাসীনতায় প্রেমিকার অনশন।

ঘটনাটি ঘটেছে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়নের পাঁচ কমলাপুর গ্রামে।

আলুকদিয়া ইউনিয়নের আনছার ক্যাম্প পাড়ার ইসরায়েল হোসেনের মেয়ে লতা খাতুন গত

বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে প্রেমিক অন্তরের বাড়িতে অবস্থান করছেন বিয়ের দাবিতে। প্রেমিক অন্তর একই

গ্রামের স্কুলপাড়ার বাসিন্দা ওল্টুর ছেলে এবং সেনাবাহিনীর সদস্য।

লতা জানান, “আমার সাথে অন্তরের দুই বছরের প্রেমের সম্পর্ক। এই দুই বছরে আমরা অনেক

জায়গায় ঘুরেছি। গত ৬ ফেব্রুয়ারি আমরা ঝিনাইদহের একটি পার্কে ঘুরতে যাই।

সেখানেই স্থানীয় কিছু মানুষ আমাদের ধরে ফেলে এবং জোরপূর্বক বিয়ে দেয়।”

তিনি আরও বলেন, “এরপর কিছুদিন সম্পর্ক ভালোই চলছিল। কিন্তু পরবর্তীতে অন্তর তার পরিবারের চাপে

আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এখন ছুটিতে বাড়ি এসেছে খবর পেয়ে আমি তার বাড়িতে এসেছি

এবং স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি না পাওয়া পর্যন্ত এখান থেকে নড়বো না।”

অন্তরের পরিবার অবশ্য এই দাবি মানতে নারাজ। অন্তরের মা ফাতেমা খাতুন অভিযোগ করে বলেন,

“এই মেয়েটি পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে পার্কে নিয়ে যায় এবং তার আত্মীয়-স্বজন দিয়ে আটকে

রাখে। পরে মারধোর ও মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে জোর করে বিয়ে দেয়। আমার ছেলে সরকারি চাকরি

করে, এই কারণে ফাঁদে ফেলার জন্য এসব করা হয়েছে। তাই আমরা এই বিয়ে মানি না।”

এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের অনেকেই বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *