জীবননগর অফিস:-চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ঋণের টাকার জন্য মোছা. নুরুন নাহার (৪৭) নামের এক নারীকে বিআরডিবি
(বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড) অফিসে তালাবদ্ধ করে রাখার ঘটনার পর এবার মানবিক উদ্যোগ নিলেন
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল আমীন।
শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি ভুক্তভোগী নুরুন নাহারের বাড়িতে গিয়ে তার
খোঁজখবর নেন। এসময় তিনি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন এবং
মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ওই নারীকে সান্ত্বনা দেন।
গত বৃহস্পতিবার রাতে জীবননগর বিআরডিবি
কার্যালয়ে ঋণের টাকার জন্য নুরুন নাহারকে অফিস কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ ওঠে।
পরে পুলিশ ও সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে তাকে মুক্ত করা হয়।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হলে বিষয়টি তদন্তে নামে উপজেলা প্রশাসন। ইউএনও
মো. আল আমীন সাংবাদিকদের জানান, ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক। আমরা ভুক্তভোগীর
পাশে দাঁড়াতে এসেছি। তার মানসিক অবস্থা অত্যন্ত দুর্বল, তাই সাহস জোগানো এবং কিছু সহায়তা দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন,ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে ইতিমধ্যে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত
প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঋণের টাকা আদায়ের ক্ষেত্রে এ ধরনের পন্থা গ্রহণ ঠিক হয়নি মন্তব্য করে ইউএনও বলেন, সরকারের
দেওয়া ঋণ আদায়ের জন্য প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায়। কিন্তু কাউকে অবরুদ্ধ করা অনৈতিক এবং অবৈধ।
তিনি আরও বলেন, আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে সকলের কাছে অনুরোধ জানাতে চাই, যেন ভুল
বোঝাবুঝির অবসান ঘটে এবং ভুক্তভোগী যাতে ধীরে ধীরে তার ঋণ পরিশোধ করতে পারেন,
সে সহযোগিতা আমরা করবো। আর এই ঘটনার মাধ্যমে তার যে সম্মানহানি হয়েছে, তার পেছনে যারা দায়ী, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
উল্লেখ্য, এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রে পরিণত হয়।
ইউএনও’র সরেজমিন পরিদর্শন ও দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকাবাসী।