জীবননগরে প্র্যাকটিক্যাল নম্বর না থাকায় ভোকেশনাল শাখার ৮৮ শিক্ষার্থী ফেল, শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ শিক্ষা বোর্ডে নম্বর এন্ট্রি নিয়ে ভুলের অভিযোগ, ফলাফল সংশোধনের দাবি

 

জীবননগর অফিস:-

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হাসাদাহ বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখার ৮৮ জন

শিক্ষার্থী এবারের এসএসসি পরীক্ষায় প্র্যাকটিক্যাল নম্বর না থাকায় অকৃতকার্য (ফেল) হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে এমন ফলাফলের পর শুক্রবার

(১১ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জীবননগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা

অফিসের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানান।

জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ভোকেশনাল বিভাগ থেকে নিয়মিত ৬৮ ও অনিয়মিত ২০ জন শিক্ষার্থী

এবার পরীক্ষায় অংশ নেয়। ফলাফলে দেখা গেছে, অনেক শিক্ষার্থী সব বিষয়ে জিপিএ-৫, এ অথবা এ

মাইনাস পেলেও ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাসাইনমেন্ট’ নামক ব্যবহারিক বিষয়ে তারা সবাই ফেল দেখিয়েছে। আর

সে কারণে পুরো ফলাফলে ফেল এসেছে।

প্রতিবাদে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, তারা নিয়ম অনুযায়ী সময়মতো ব্যবহারিক

খাতা (প্র্যাকটিক্যাল খাতা) জমা দিয়েছিলেন। খাতা জমাদানের শেষ তারিখ ছিল ২২ জুন, তার আগেই তারা সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের মাধ্যমে তা জমা দেন। কিন্তু

ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাসাইনমেন্টে সবাই ফেল করেছে, যা তাদের রেজাল্ট ধ্বংস করে দিয়েছে।

এই ঘটনার পর শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে। অনেক

শিক্ষার্থী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। তারা বলছে, কোনো কারণ ছাড়াই এমন একটি ফলাফল মেনে

নেওয়া যায় না। এ ভুলের জন্য তাদের ভবিষ্যৎ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

এ বিষয়ে হাসাদাহ বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখার শিক্ষক আব্দুর রহমান জানান, এ

সমস্যাটি বোর্ডে জানানো হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, “রোববারের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে বলে বোর্ড আশ্বস্ত করেছে।”

জীবননগর উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার সৈয়দ আব্দুল জব্বার জানান, বিষয়টি জানার পরই

তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, তারা শিক্ষা বোর্ডের সঙ্গে

যোগাযোগ করেছেন। এখন বোর্ড যাচাই করে জানাবে, প্র্যাকটিক্যালে প্রকৃতপক্ষে ফেল এসেছে

নাকি নম্বর এন্ট্রি হয়নি। যদি নম্বর এন্ট্রি না হয়ে থাকে, তাহলে তা সংশোধনের সুযোগ রয়েছে।

 

এ ঘটনায় জীবননগরের শিক্ষাঙ্গনে উত্তেজনা ও উদ্বেগ বিরাজ করছে। ভুক্তভোগীরা দ্রুত সঠিক তদন্ত করে ফলাফল সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *