জীবননগরে মাদরাসা ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক: আরও দুই অভিযুক্ত পলাতক

জীবননগর অফিস:

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় মাদরাসার এক নাবালিকা ছাত্রীকে অপহরণ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের চেষ্টা অভিযোগে শিহাব (১৮) নামের এক যুবককে আটক

করেছেন থানা পুলিশ। রোববার (১৩ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে জীবননগর পৌরসভার নতুন

তেতুলিয়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।

 ঘটনাটি বৃহস্পতিবার(১০ জুলাই) দুপুরের দিকে সংঘটিত হলেও আতঙ্কিত ছাত্রী ঘটনার কথা শুক্রবার

বিকালের দিকে তার পিতামাতার নিকট প্রকাশ করলে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। আটক শিহাব একই গ্রামের রফিকুল ইসলাম টেনার ছেলে।

তবে এই ঘটনার সাথে তার আরো দু’সহযোগী  যুবক জড়িত এবং তারা ঘটনার পর পরই পলাতক রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

পুলিশ তাদের শনাক্ত ও গ্রেফতার চেষ্টা চালিয়ে
যাচ্ছেন। ভুক্তভোগী ছাত্রী জীবননগর পৌর এলাকার নতুন তেতুলিয়া মহিলা মাদ্রাসার ছাত্রী।

তার পরিবার সূত্রে জানায়, তিন দিন আগে (১০ জুলাই) দুপুর ১২.২০ মিনিটের সময় মাদরাসা ছুটি

হলে তার কন্যা  বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা হলে পথিমধ্যে শিহাব ও তার দুই সহযোগী মোটর সাইকেলে করে মেয়েটিকে তুলে নেয়।

 প্রথমে তারা জীবননগর বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন একটি দোকান থেকে মেয়েটিকে খাবার কিনে দেয়, পরে

বিজিবি ক্যাম্পের অদূরে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে
পালাক্রমে যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের চেষ্টা করে।

অভিযুক্তরা মেয়েটির গলায় কাঁচি ধরে হত্যার ভয় দেখায় এবং বিষয়টি কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

ফলে ভয়ে এবং প্রাণনাশের হুমকির কারণে ছাত্রী প্রথমে পরিবারের কাছে কিছু প্রকাশ করেনি।

পরে গত শুক্রবার মেয়েটি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে ঘটনার বিস্তারিত তার মাকে জানায়। এরপর

পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তির কাছে বিচার চাওয়া হলেও উল্টোপরিবারটিকে ‘দোষী বানানোর’ চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

পরিস্থিতির অবনতি হলে মেয়েটিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা মেয়েটির শারীরিক অবস্থা দেখে জানান এটি একটি

পুলিশি মামলা এবং প্রথমে থানায় অভিযোগ জানাতে হবে। এরপর শনিবার রাতে মেয়েটির মাবাদী হয়ে জীবননগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বলেন,আমার মেয়ের সাথে যারা এই অমানবিক কাজ করেছে, আমি তাদের কঠিন বিচার চাই। শিহাবের সাথে যারা ছিল, তাদেরও দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।

গ্রামের কিছু মানুষ উল্টো আমাদের দোষারোপ করছে, আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মামুন হোসেন বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,ঘটনার ব্যাপারে থানায় একটি নিয়মিত মামলা হয়েছে।
তাৎক্ষণিক ভাবে অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্ত শিহাবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মেয়েটির মেডিকেল

পরীক্ষা এবং জবানবন্দী গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান
রয়েছে। বাকি অভিযুক্তদেরও চিহ্নিত করার চেষ্টা

চলছে এবং দ্রুত গ্রেফতারের জন্য গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *