আবু সাইদ শওকত আলী,বিশেষ প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঘোষিত ‘জুলাই পদযাত্রা’কে কেন্দ্র করে আইন-
শৃঙ্খলা বাহিনী ও সাধারণ জনতার সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত চারজনের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনও সৎকার করা হয়েছে।
বুধবার রাত ও বৃহস্পতিবার সকালে স্বজনদের উদ্যোগে মরদেহগুলোর দাফন-সৎকার সম্পন্ন হয়।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক জানান,এখন পর্যন্ত নিহত চারজনের পরিচয় নিশ্চিত
হওয়া গেছে। তবে তাদের ময়নাতদন্ত হয়নি। এই বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে এবং আইনগতভাবে প্রক্রিয়ায় আনা হবে। নিহতরা হচ্ছেন-দীপ্ত সাহা (৩০) – পেশায় একজন পোশাক ব্যবসায়ী।
তাকে বুধবার রাতেই গোপালগঞ্জ পৌর শ্মশানে সৎকার করা হয়। রমজান কাজী (২৫) – টাইলস
মিস্ত্রির সহকারী। তার জানাজা শেষে বুধবার রাতে এশার নামাজের পর দাফন সম্পন্ন হয়।
সোহেল রানা (৩২) – স্থানীয় মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী। তাকে বৃহস্পতিবার সকালে পৌর
কবরস্থানে দাফন করা হয়। ইমন তালুকদার (২২) – একটি ক্রোকারিজ দোকানের কর্মচারী।
তাকেও বৃহস্পতিবার সকালে একই কবরস্থানে দাফন করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে চারজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। এনসিপির দাবিতে আয়োজিত
পদযাত্রা ঘিরে উত্তেজনা বাড়লে পুলিশ ও দলীয় কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়, যা মুহূর্তেই ছড়িয়ে
পড়ে আশপাশে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গুলি চালায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি।
নিহতদের পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ তদন্ত ছাড়াই তড়িঘড়ি
করে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে এবং ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়।
যদিও প্রশাসনের ভাষ্য, পরিস্থিতির চাপ ও আইনশৃঙ্খলার বিষয় বিবেচনায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় এলাকায় এখনও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে
এবং পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।