জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ঐতিহাসিক ‘জুলাই আন্দোলন’-এর
স্মৃতিকে ধারণ করে শিক্ষার্থীদের মাঝে দেশপ্রেম ও সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে চিত্রাঙ্কন ও
গ্রাফিতি অঙ্কন প্রতিযোগিতা। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থী এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে জীবননগর উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ আয়োজন
পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) জনাব মোঃ আল-আমীন।প
তিনি প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের কাজ পর্যবেক্ষণ করেন এবং তাদের উৎসাহিত করেন।
প্রতিযোগিতার মূল প্রতিপাদ্য ছিল:-
জুলাই আন্দোলন: গণতন্ত্র, ন্যায় ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম।
শিক্ষার্থীরা ক্যানভাসে রং তুলির মাধ্যমে এ
আন্দোলনের তাৎপর্য, গণতন্ত্রের সংগ্রাম, শহীদদের আত্মত্যাগ ও দেশের প্রতি ভালোবাসার চিত্র ফুটিয়ে তোলেন।
অনেক শিক্ষার্থী শহীদদের মুখচ্ছবি, প্রতিবাদের দৃশ্য, পতাকা, মিছিল কিংবা নিপীড়নের চিত্র তুলে ধরে
নিজেরা আন্দোলনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন।
ইউএনও মোঃ আল-আমীন প্রতিযোগিতা পরিদর্শন শেষে বলেন,শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ও জাতীয়
ইতিহাস সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য এমন আয়োজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জুলাই আন্দোলনের যে
বীরত্বগাথা ইতিহাস, তা নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে – তাদের মাঝেই আমাদের ভবিষ্যৎ।
তিনি আরও বলেন,শুধু পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে চিত্র, নাটক, কবিতা কিংবা গ্রাফিতির মতো
শিল্পমাধ্যমে ইতিহাস তুলে ধরলে তা শিক্ষার্থীদের মনে গভীরভাবে প্রভাব ফেলবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছা. হাফসা হাবিবা, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান
শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সাংবাদিকবৃন্দ।
প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য ছিল:শিক্ষার্থীদের মাঝে জাতীয় ইতিহাস ও আন্দোলনের চেতনা সৃষ্টি করা।
সৃজনশীল প্রকাশের মাধ্যমে প্রতিবাদ ওসচেতনতা বাড়ানো।
ঐতিহাসিক ঘটনাকে নতুন প্রজন্মের সামনে চিত্রভাষায় উপস্থাপন করা।
প্রতিযোগিতা শেষে বিচারকদের রায়ে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে এবং পরবর্তীতে আয়োজিত এক
আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে বলে জানান আয়োজকরা।
উল্লেখ্য, ‘জুলাই আন্দোলন’ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, যা জনগণের অধিকার ও
গণতান্ত্রিক দাবির পক্ষে একটি শক্তিশালী প্রতীক। এমন আয়োজনে নতুন প্রজন্ম যেমন ইতিহাস জানতে
পারছে, তেমনি নিজেদের মেধা ও কল্পনা শক্তি দিয়ে জাতির প্রতি দায়িত্ববোধও গড়ে তুলছে।