মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়লেও বক্তব্য শেষ করলেন জামায়াত আমির, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশের প্রত্যয়

বিশেষ প্রতিনিধি,আবু সাইদ শওকত আলী:

জাতীয় সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মঞ্চে পড়ে যান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর

আমির ডা. শফিকুর রহমান। শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজিত এক বিশাল

জনসভায় এই ঘটনা ঘটে। প্রচণ্ড গরম ও শারীরিক ক্লান্তির কারণে তিনি মুহূর্তেই ভারসাম্য হারিয়েফেলেন বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বক্তব্য  শুরুর  কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তিনি মঞ্চে লুটিয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে দলের নেতাকর্মীরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন।

কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর তিনি আবার মঞ্চে ফিরে আসেন এবং দাঁড়িয়ে বক্তব্য চালিয়ে যান।

মঞ্চে ফিরে বক্তব্যে তিনি বলেন,আমি গরমের কারণে কিছুটা অসুস্থ বোধ করছিলাম।

আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ আবার আপনাদের সামনে কথা বলার সুযোগ দিয়েছেন।

তিনি দৃঢ় কণ্ঠে বলেন,দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানাই। আমরা এমন একটি রাষ্ট্র চাই না, যা গডফাদার ও মাফিয়াদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।

আমরা জনগণের সেবক হব, মালিক নয়।

বক্তব্য চলাকালেই তিনি দ্বিতীয়বারের মতো আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে এইবার তিনি বসেই বাকী

বক্তব্য শেষ করেন। কোনো চিকিৎসক উপস্থিত না থাকলেও তিনি নিজেই পরিস্থিতি সামাল দেন এবং শেষ পর্যন্ত বক্তব্য শেষ করেন।

ডা. শফিকুর রহমান তার বক্তব্যে জামায়াতের অবস্থান স্পষ্ট করেন এবং বলেন,সরকার গঠনের সুযোগ

পেলে আমরা জনগণের স্বার্থে কাজ করব, দুর্নীতি করব না, শুল্ক না দিয়ে গাড়ি ব্যবহার করব না।

আমরা মালিকানা নয়, জনগণের সেবা দিতে চাই। এ সময় তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন,এই অন্যায়ের

বিরুদ্ধে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে এবং ইনশাআল্লাহ বিজয় আমাদের হবেই।

 ঘটনাক্রম:

সময়কাল ঘটনাবিবরণ
প্রথম অসুস্থতা বক্তব্যরত অবস্থায় হঠাৎ মঞ্চে পড়ে যান, গরম ও ক্লান্তির কারণে
প্রাথমিক চিকিৎসা মঞ্চেই তাৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ
ফিরে অংশগ্রহণ মঞ্চে দাঁড়িয়ে “দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ” এর আহ্বান জানান
দ্বিতীয় অসুস্থতা আবার অসুস্থবোধ করে পড়ে যান
শেষ বক্তব্য মঞ্চে বসেই বক্তব্য শেষ করেন – “মালিক নয়, সেবক হবো”

ডা. শফিকুর রহমানের এই সাহসিকতা ও দৃঢ়তা উপস্থিত নেতা-কর্মীদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা

সৃষ্টি করে। উপস্থিত জনতা তার বক্তব্যে বারবার সাড়া দেন স্লোগানে ও করতালিতে।

এই জাতীয় সমাবেশে জামায়াতে ইসলামী দেশের রাজনৈতিক সংকট, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা

এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের ওপর গুরুত্বারোপ করে তাদের ভবিষ্যৎ রূপরেখা তুলে ধরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *