জীবননগর নতুন তেতুলিয়ায় ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় কিশোর শিহাবকে ফাঁসানোর অভিযোগ পরিবারের

জীবননগর অফিস:-

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌর এলাকার তেতুলিয়া গ্রামের ১৬ বছর বয়সী কিশোর শিহাবের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণচেষ্টা মামলাকে ‘মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার পরিবার। শনিবার (১৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় জীবননগর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন শিহাবের চাচা তরিকুল ইসলাম।

লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, শিহাব বর্তমানে দশম শ্রেণীর ছাত্র। তার বিরুদ্ধে যে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন ও মনগড়া। মামলার এজাহারে দাবি করা হয়েছে,শিহাব ও তার দুই বন্ধু এক তরুণীকে একটি রেস্টুরেন্টে নিয়ে গিয়ে খাবার খাওয়ায় এবং পরে তাকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়।

কিন্তু সেই রেস্টুরেন্টের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে এমন কোন দৃশ্য বা আলামত পাওয়া যায়নি। রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলেও জানান তিনি।

তরিকুল ইসলাম আরও বলেন,যে দিন  ঘটনাটি ঘটেছে বলা হচ্ছে, সেটি ছিল বুধবার যেদিন জীবননগরে হাট বসে। এত মানুষের মধ্যে একটি কিশোরীকে চারজন মিলে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে অথচ কেউ কিছু দেখেনি এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। পাশাপাশি এক মোটরসাইকেলে চারজন ওঠাও বাস্তবসম্মত নয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও দাবি করা হয়, মামলার বাদী পক্ষ মাদক কারবারে জড়িত এবং একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত। তারা সেই প্রভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে শিহাবের পরিবারকে হয়রানি করছে।

শিহাবের চাচা অভিযোগ করে বলেন, ১৩ জুলাই শিহাব ও তার বাবাকে বাদী পক্ষের লোকজন মারধর করে এবং শিহাবকে একটি বিদ্যুতের খুঁটির সাথে বেঁধে রাখে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে। এখন মিথ্যা মামলা দিয়ে ঘটনাকে ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা চলছে।

রয়েল ক্যাফে পার্ক নামের ওই  রেস্টুরেন্টের  মালিক বলেন, অভিযুক্তদের  কাউকে আমাদের   রেস্টুরেন্টে আসতে দেখা যায়নি। পুলিশও ফুটেজ পরীক্ষা করেছেন,কিন্তু কোন আলামত মেলেনি। এমনকি যেই টেবিলের কথা মামলায় বলা হয়েছে, সেখানে স্থাপিত ক্যামেরাতেও তাদের কারও উপস্থিতি ধরা পড়েনি।

এ বিষয়ে শিহাবের পরিবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের কাছে নিরপেক্ষ তদন্ত এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করে প্রকৃত সত্য উদঘাটনের আহ্বান জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে মামলার বাদী সাংবাদিকদের জানান,আমার মেয়ে মাদ্রাসা থেকে বাড়ী ফেরার সময় শিহাব ও তার সহযোগীরা তাকে রেস্টুরেন্টে নিয়ে গিয়েছিল এবং পরে একটি বাড়ীতে নিয়ে যায়। বিষয়টি আমার মেয়ে নিজেই বাসায় এসে জানিয়েছে।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন,মাদ্রাসা ছাত্রী আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দীতে  দিয়েছে। আমরা মামলাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *