রিমন হোসেন, মহেশপুর প্রতিনিধি:-
সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালান ও মানবপাচার প্রতিরোধে রেকর্ড সাফল্য পেয়েছে ঝিনাইদহের মহেশপুর ৫৮
বিজিবি। গত ৭ মাসে ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায়
৩০ কোটি টাকার অবৈধ মাদক, অস্ত্র ও সোনা জব্দ করেছে। এ সময়ে অবৈধ অনুপ্রবেশসহ বিভিন্ন
অপরাধে দুই হাজার ১৬৮ জনকে আটক করেছে।বিজিবি সুত্রে জানা গেছে, সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়ে
৫৮ বিজিবি এ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার সময় এক হাজার ১৩৮ জন এবং ভারত
থেকে আসার সময় ৯৭৯ জন অনুপ্রবেশকারীদের আটক করে। আটককৃতদের মধ্যে ১৮ জন ভারতীয়
নাগরিকও রয়েছে। এছাড়া মানবপাচারে জড়িত সন্দেহে ৩৩ জন দালালকে আটক করা হয়। এর মধ্যে শংকর অধিকারী নামে একজন ভারতীয়
পাচারকারীও রয়েছে।বাংলাদেশ ৫৮ বিজিবির উপ-অধিনায়ক অতিরিক্ত পরিচালক আবু হানিফ মোঃ
সিহানুক জানান, মহেশপুর ৫৮ বিজিবি চলতি বছরে ৭ হাজার ৯২০ বোতল বিদেশি মদ, ৯ হাজার ৫১৭
বোতল ফেনসিডিল, ৬৮ কেজি গাঁজা, ৪৫ হাজারের বেশি ইয়াবা, ৫ কেজি ১১ গ্রাম কোকেন, ৬ কেজি
৪০৫ গ্রাম হেরোইন এবং বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ ওষুধ উদ্ধার করা হয়েছে, যার বাজার মুল্য প্রায় ২৪ কোটি ১৩ লাখ টাকা বলে বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ২০২৫ সালের ১৭ মার্চ থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত সময়ে পাঁচটি পৃথক অভিযানে ৫ কোটি
টাকা মুল্যের ৩ কেজি ৬৫৪ গ্রাম সোনা আটক করেছে। এ সময় বিজিবি উদ্ধার করেছে ২টি বিদেশি
পিস্তল, ৪টি দেশি ওয়ান-শুটার গান এবং ১৪ রাউন্ড গুলি।অন্যদিকে যৌথ টাস্ক ফোর্স অভিযানে ৯০ লাখ
টাকার ভারতীয় শাড়ি, শাল, থ্রি-পিস, চায়না জাল ও মদ উদ্ধার এবং দুই লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা
আদায় করেছে। ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে সীমান্ত দিয়ে গরু ও কোরবানির চামড়া পাচার প্রতিরোধে ছিল
বিজিবির কঠোর নজরদারি। ফলে কোনো ধরনের গরু পাচার কিংবা ঈদের পরে চামড়া পাচারের ঘটনা
ঘটেনি।গত মে মাসে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ অবৈধভাবে ভারতে অবস্থানকারী ৫২ জন
বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করলেও পরবর্তীতে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে ১৮৬ জনকে শান্তিপূর্ণভাবে
বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে উপ-অধিনায়ক অতিরিক্ত পরিচালক আবু হানিফ মোঃ সিহানুক
জানান, “সীমান্তরক্ষার পাশাপাশি চোরাচালান ও মানবপাচার প্রতিরোধে আমাদের কার্যক্রম আরও
জোরদার করা হচ্ছে। ভবিষ্যতেও এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।