গঞ্জেরখবর ডেস্ক:-
ছাগল নিয়ে মাকে ধরে মারছিল ছেলে বিল্লাল হোসেন। সেটা দেখে রক্ষা করতে গিয়ে মারপিটের
শিকার হয়েছেন চাচা ও চাচী। এতে করে গুরুতর আহত ওই তিনজন। পরে ওই ঘটনায় ভ্রাম্যমান
আদালতের মাধ্যমে দুই মাসের জেল দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ
ম্যাজিস্টেট কাজী আনিসুল ইসলাম। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে কোটচাঁদপুরের বিদ্যাধরপুর গ্রামে।
ভুক্তভোগী চাচা রুস্তম আলী বলেন,ছাগল নিয়ে বউমার সঙ্গে বিরোধ শুরু হয়। খবর পেয়ে ছেলে
বিল্লাল হোসেন ঘটনাস্থলে এসে মাকে মারপিট করতে থাকেন। ওই ঘটনা দেখে আমি ও আমার স্ত্রী
মেহেরুন নেচা, তাঁর মাকে রক্ষা করতে যায়। এ সময় সে আমাদের দুই জনকেও মারপিট করতে থাকেন।
এতে করে আমরা তিন জনই গুরুতর আহত হয়েছি। পরে বিষয়টি থানাকে অবহিত করলে,থানার ওসি
সাহেব ও ইউএনও সাহেব এসে দুই মাসের জেল দিয়েছেন বিল্লালকে।
বর্তমানে তাকে জেলে পাঠিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি বিল্লাল হোসেন (২২)। সে কোটচাঁদপুরের বিদ্যাধরপুর গ্রামের আসাদুল ইসলামের ছেলে।
সে পেশায় রাজমিস্ত্রী বলে জানা গেছে।
আহত মা ফেরদৌসি খাতুন (৫০),চাচাী মেহেরুন নেচা (৩০)ও চাচা রুস্তম আলী কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
থেকে চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে বাড়িতে আছেন।
কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির
হোসেন মাতুব্বর বলেন,পারিবারিক কলহে মাকে ধরে মারছিল ছেলে বিল্লাল হোসেন।
এরপর তাকে রক্ষা করতে গেলে মারপিটের শিকার হন চাচা ও তাঁর চাচী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্টেট কাজী আনিসুল ইসলাম।
এরপর তাকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে দুই মাসের জেল দেয়া হয়।
পরে তাকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।