বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শ্রদ্ধেয় শিক্ষিকা মেহরীন চৌধুরীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ

আবু সাইদ শওকত আলী,বিশেষ প্রতিনিধি:-

নীলফামারী জেলার জলঢাকা পৌরসভার বগুলাগাড়ী গ্রামে ২৩ জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার, এক

আবেগঘন পরিবেশে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রয়াত

শিক্ষিকা মেহরীন চৌধুরীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান, বিবিপি, ওএসপি, জিইউপি, এনএসডব্লিউসি,

পিএসসি-এর নির্দেশনায় একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে এই মহান শিক্ষিকার প্রতি সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও সম্মান জানায়।

প্রতিনিধি দল মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ও

সহানুভূতি প্রকাশ করেন। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষকমণ্ডলী, জনপ্রতিনিধি, প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এবং

এলাকাবাসী এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

শ্রদ্ধেয় শিক্ষিকা মেহরীন চৌধুরী ছিলেন রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের

একজন জনপ্রিয় ও আদর্শবান শিক্ষিকা। তিনি শুধু একজন শিক্ষকই ছিলেন না, ছিলেন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসম।

গত সপ্তাহে মর্মান্তিকভাবে মাইলস্টোন স্কুল প্রাঙ্গণে একটি প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীদের

বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করেন তিনি। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের নিরাপদে সরিয়ে

নেওয়ার চেষ্টার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন এই মহীয়সী নারী। তাঁর আত্মত্যাগে সমগ্র জাতি আজ শোকাহত ও গর্বিত

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, শিক্ষিকা মেহরীন চৌধুরীর আত্মত্যাগ শুধু একটি

শিক্ষাঙ্গনের জন্য নয়, বরং সমগ্র জাতির জন্য এক গৌরবময় অধ্যায়।

তাঁর আদর্শ, মূল্যবোধ ও দায়িত্ববোধ পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবে।

মেহরীন চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক,

সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছেন।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও তাঁর সাহসিকতা ও আত্মত্যাগের ঘটনা গুরুত্বের সঙ্গে প্রচারিত হয়েছে।

শিক্ষিকা মেহরীন চৌধুরীর জীবন যেন এক জীবন্ত শিক্ষা  কীভাবে দায়িত্ব, সাহস এবং নিঃস্বার্থ ভালোবাসা একজন মানুষকে অমর করে তোলে।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এই শ্রদ্ধাঞ্জলি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ জাতির পক্ষ থেকে এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তাত্যিকারের নায়কের মর্যাদা কখনও অন্ধকারে হারিয়ে যায় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *