আবু সাইদ শওকত আলী,বিশেষ প্রতিনিধি:-
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শ্রদ্ধেয় শিক্ষিকা মেহরীন চৌধুরীর
সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে নীলফামারী জেলার জলঢাকা
পৌরসভার বগুলাগাড়ী গ্রামে মরহুমার পারিবারিক কবরস্থানে এই শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানের আয়োজন
করা হয়। সম্মানিত বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, বিবিপি, ওএসপি,
জিইউপি, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি এর পক্ষে বিমান বাহিনীর একটি প্রতিনিধি দল এই শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
বিমান বাহিনীর প্রতিনিধি দল কবর জিয়ারত করে মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর
শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এ সময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, শিক্ষার্থীদের
প্রতিনিধি ও এলাকার বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষিকা মেহরীন চৌধুরী ছিলেন মানবিকতা,
দায়িত্ববোধ ও আত্মত্যাগের এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
ঢাকার উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে কর্মরত অবস্থায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায়
কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জীবন রক্ষার্থে তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেন।
তাঁর এই সাহসিকতা ও আত্মত্যাগ গোটা জাতিকে স্তব্ধ করে দেয় এবং শিক্ষা ও সেবার এক উজ্জ্বল উদাহরণ
হিসেবে সবার হৃদয়ে স্থায়ী আসন করে নেয়।
বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, শিক্ষিকা মেহরীন চৌধুরীর আত্মত্যাগ জাতির জন্য এক গর্বে
বিষয়। তাঁর মতো আত্মনিবেদিত মানুষ সমাজে খুব কমই দেখা যায়। তিনি শুধু একজন শিক্ষক নন, বরং
একজন নীরব বীর—যিনি শিক্ষার্থীদের জীবন বাঁচাতে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ জুলাই ঢাকার উত্তরা এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন এলাকায়
একটি দুর্ভাগ্যজনক বিমান দুর্ঘটনায় গুরুতর আগুনে পুড়ে আহত হন শিক্ষিকা মেহরীন। পরবর্তীতে ঢাকা
সিএমএইচ-এ চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুতে সারাদেশে শোকের ছায়া নেমে আসে।
শিক্ষিকা মেহরীন চৌধুরীর আত্মত্যাগ চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে জাতি। তাঁর প্রতি এই রাষ্ট্রীয় শ্রদ্ধাঞ্জলি যেন তাঁর মহান আত্মত্যাগের প্রতি যথাযথ সম্মান জ্ঞাপন করে।