জীবননগর মনোহরপুরের বহুরুপি ঘর জামাই রহস্যজনক নিখোঁজ নাকি  আত্মগোপন

জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর শিমুলতলাপাড়ার বহুরুপি ঘর জামাই স্বপন ওরফে

বাপ্পী শেখ(৫৫) দীর্ঘদিন ধরে বাড়ী ফিরে না আসায় পরিবারটি চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। ঘরজামাই স্বপন

পেশায় একজন পকেট ও ছিনতাইকারী হিসাবে
পরিবারের নিকট পরিচিত। অনেকের দাবী স্বপন

অনেক দিন আগেই স্ত্রী-সন্তান রেখে কোথাও আত্মগোপন করেছেন।
জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর শিমুলতলাপাড়ার মৃত ওহাব আলী মন্ডলের মেয়ে নাহার খাতুন(৫০)

বলেন,গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার

চরঘাটপাড়ার মোতালেব শেখের ছেলে স্বপন ওরফে বাপ্পী শেখ(৫৫) আমাকে ৩২ বছর আগে বিয়ে করে।

আমাদের দাম্পত্য জীবনে কনিকা ওরফে স্বপ্না(২৮) নামের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। দীর্ঘ দাম্পত্য

জীবনে স্বপন আমাকে তার বাড়ীতে নিয়ে যায়নি। আমার পিতামাতার বাড়ীতেই আমাকে একমাত্র

সন্তানসহ রেখে দেয়। মাঝে মধ্যে বাড়ীতে যাওয়ার কথা বলে চলে যেতো। আবার কিছুদিন সেখানে

থেকে চলে আসতো। তার আসা-যাওয়ার মধ্যেই
আমাদের দাম্পত্য জীবন সীমাবদ্ধ ছিল।

সে কি কাজ করে কি হয়,আমার সাথে না বলে

চুপচাপ থাকতো।  আমি সরল বিশ্বাসে সংসার করে যাচ্ছিলাম। পরবর্তীতে জানতে পারি স্বপন একজন

পকেটমার এবং যানবাহনে কৌশলবাঁজ ছিনতাইকারী।

এদিকে হঠাৎ করেই গত ৭-৮ মাস আগে বাপ্পী শেখ আমার বাড়ী থেকে বের হয়ে যায়।

বাড়ী থেকে যাওয়ার সময় আমার ৮০ হাজার টাকাও নিয়ে যায়। পরে আর ফিরে আসে না। আমরা তাকে

সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করি। কিন্তু কোথাও কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে শুনেছি সে যশোর

জেলার কোন এক এলাকায় স্ত্রী-সন্তানের কথা গোপন করে আবারও বিয়ে করেছে। তার সেই স্ত্রীর মোবাইল

ফোন নং-০১৯২১-১১০৯১৭ এ যোগাযোগ করলে মোবাইল ফোনটি রিসিভের পর আর কোন কথা হয়

না। ফলে তার অবস্থানটি কোথা তা জানা সম্ভব হয় না।

স্বপনের স্ত্রী নাহার খাতুনের দাবি তার স্বামীর গ্রামের বাড়ী গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার

চরঘাটপাড়ায় ভয়ে যেতে পারছেন না। কারণ স্বপন ভাল চরিত্রের মানুষ নয়,তাকে আগেই হুমকি দেয়া

হয়েছে,তার বাড়ীতে গেলে তাকে প্রাণনাশ করা হবে। এদিকে নাহার খাতুনের একমাত্র কন্যা স্বপ্না খাতুন

পিতার এহেন আচরনে হতবাক এবং তার দাম্পত্য জীবনেও দেখা দিয়েছে অশান্তি। স্বপ্না তার পিতার

অবস্থান জানতে হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছেন।

অন্যদিকে গৃহবধু নাহার খাতুন স্বপনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় আদালত গ্রেফতারী পরোয়ানা

ইস্যু করলেও অদ্যাবধি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে
পারিনি। এতে নাহার খাতুনও হতাশ হয়ে পড়েছেন।

মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার জহুরুল হক তুহিন বলেন,ঘটনাটি আমি শুনেছ্। 

তবে স্বপনের বাড়ী কোথায় আমার সঠিক ভাকে জানা
নেই।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন,ঘটনার বিষয়টি আমার জানা নেই।

আমাদের নিকট ভুক্তভোগী পরিবার কোন লিখিত অভিযোগও এ পর্যন্ত করেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *