বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তিন প্রজন্মের অবদান আলমগীর, রুনা লায়লা ও আঁখি আলমগীর

আবু সাইদ শওকত আলী,বিশেষ প্রতিনিধি:-

ঢাকা: বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গনে দীর্ঘদিন ধরে আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন তিন প্রজন্মের শিল্পী—প্রখ্যাত অভিনেতা আলমগীর, কিংবদন্তি গায়িকা রুনা লায়লা

এবং তাঁদের কন্যা জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও অভিনেত্রী আঁখি আলমগীর। অভিনয় ও সংগীতে এই পরিবারের

অবদান বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

১৯৭০-এর দশকে  বাংলা চলচ্চিত্রে  অভিষেক ঘটে নায়ক আলমগীরের।অভিনয় দক্ষতা, সংলাপ প্রদানের স্বকীয়তা এবং দর্শকনন্দিত চরিত্রে সফলতার জন্য

তিনি দ্রুতই চলচ্চিত্রপ্রেমীদের হৃদয় জয় করেন।

কয়েক দশকের ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় ছবিতে অভিনয় করে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ বহু সম্মাননা অর্জন করেছেন।

অন্যদিকে, রুনা লায়লা শুধু বাংলাদেশের নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী। বাংলা,

হিন্দি, উর্দুসহ একাধিক ভাষায় গান গেয়ে তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেছেন। সঙ্গীতে

অবদানের জন্য পেয়েছেন স্বাধীনতা পুরস্কার ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অসংখ্য আন্তর্জাতিক সম্মাননা।

তাঁদের কন্যা আঁখি আলমগীরও শৈশব থেকেই শিল্পচর্চায় যুক্ত। কণ্ঠশিল্পী হিসেবে তিনি আধুনিক

বাংলা গানে বিশেষ পরিচিতি পেয়েছেন এবং চলচ্চিত্র ও মঞ্চে পারফর্ম করে নতুন প্রজন্মের কাছে

জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। সংগীতে অবদানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন।

বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরতে এবং প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে এই

তিন শিল্পীর অবদান বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *