সহকারী প্রধান শিক্ষকের হাতে শিক্ষক লাঞ্ছিত অভিযুক্ত শিক্ষককে অপসারণের আল্টিমেটাম 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:

ঝিনাইদহ  সদর  উপজেলার  উত্তর  নারায়ণপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক সোহেল

রানার হাতে সিনিয়র সহকারী শিক্ষক আব্দুল লতিফ লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (১১ আগস্ট) সকালে বিদ্যালয়ের

অফিসকক্ষে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর বিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর বরাত জানা গেছে, সকালে সিনিয়র সহকারী শিক্ষক আব্দুল

লতিফ বিদ্যালয়ে আগত কয়েকজন অতিথির সঙ্গে কথা বলার কারণে ক্লাসে যেতে কিছুটা দেরি হয়।

এ সময় সহকারী প্রধান শিক্ষক সোহেল রানা

অসৌজন্যমূলক ভাষায় কথা বলেন। এতে প্রতিবাদ করলে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে তিনি লতিফ

স্যারকে একাধিকবার ধাক্কা দেন। এতে তিনি পড়ে গিয়ে আহত হন।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের দাবি—সোহেল রানার বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক

অভিযোগ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থীদের মারধর, নারী শিক্ষার্থীদের প্রতি অশোভন আচরণ

এবং সহকর্মী শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণ। অভিযোগ রয়েছে, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তিনি চাকরি লাভ

করেছেন। এর আগে অন্তত তিনজন শিক্ষককে

শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ শিক্ষক-শিক্ষার্থী

ও স্থানীয়রা সোহেল রানাকে বিদ্যালয় ত্যাগে বাধ্য করেন। তারা ঘোষণা দেন, দ্রুত তাকে অপসারণ না

করা হলে মানববন্ধন ও কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।এ ঘটনার পর ফেসবুকসহ সামাজিক

যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে

সোহেল রানার অপসারণের দাবি জানানো হয়। অনেকে এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেন।

সিনিয়র সহকারী শিক্ষক আব্দুল লতিফ বলেন, ঘটনাটি সত্য। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায্য বিচার চাই।

প্রধান শিক্ষক আবু দাউদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। একইভাবে অভিযুক্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক সোহেল রানার

সাথেও একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *