জীবননগর অফিস:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরর উপজেলার বেনীপুরে যৌতুকের টাকা না দেয়ায় স্ত্রীকে নির্মম ভাবে পিটিয়ে পা ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পাষন্ড স্বামীর বিরুদ্ধে। মারাত্মক আহত অবস্থায় ওই নারী বর্তমানে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া
হয়েছে। তিনি বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত হলেও পিতামাতার বাড়ীতে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ঘটনায় নির্যাতিত গৃহবধুর পিতা বাদী হয়ে জীবননগর থানায় রোববার(১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনাটি গত মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের বেনীপুর বাজারপাড়া এলাকায় সংঘটিত হয়েছে। অভিযুক্ত স্বামী ইলিয়াস শেখ(৩৫)
উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের বেনীপুর গ্রামের মৃত নাসির শেখের ছেলে। অন্যদিকে নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ ফজিলা
খাতুন(৩০) উপজেলার আন্দলবাড়িয়া ইউনিয়নের আন্দুলবাড়িয়া দোশিমানাপাড়ার কৃষক ফজলুর রহমানের মেয়ে। নির্যাতনের শিকার ফজিলা খাতুন জানান, ১৫ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। সংসারে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে স্বামী
ইলিয়াস হোসেন বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের দু’লাখ টাকা আনার জন্য তাকে চাপ দিয়ে আসছিলেন। টাকা না দিলে প্রায়ই তিনি স্ত্রীকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করতেন। তিনি আরও বলেন,গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ইলিয়াস হোসেন দুই লাখ টাকা
যৌতুক দাবি করে। আমি প্রতিবাদ করলে সে লাঠি দিয়ে আমাকে মারতে শুরু করে। এক পর্যায়ে লাঠির আঘাতে আমার বাম
পায়ের হাড় ভেঙে যায়। মারধরের সময় আমার ১১ বছরের মেয়ে আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে সেও আহত হয়। স্থানীয়রা জানান, টাকা–পয়সা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। ঘটনার দিনও একই কারণে ইলিয়াস হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করে। পরে প্রতিবেশীরা আহত ফজিলা খাতুন ও তার মেয়েকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আহতের বাবা ফজলুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ইলিয়াস বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়ের কাছে নিয়মিত টাকা চাইত। এর আগেও কয়েকবার টাকা দিয়েছি। কিন্তু কয়েকদিন ধরে সে আরও বড় অঙ্কের টাকা দাবি করছিল।
দিতে না পারায় মেয়েকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বার আরিফুল ইসলাম বলেন,ইলিয়াসের স্বভাব চরিত্র ভাল নয়। তার স্ত্রীকে মারপিটের ঘটনা আমি শুনেছি।
নির্যাতনের শিকার গৃহবধু বর্তমানে তার পিতার বাড়ীতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ বিষয়ে জীবননগর থানার অফিসার(ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।