জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার ধোপাখালীতে এক দরিদ্র ভ্যান চালককে কোন কারণ ছাড়াই লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের প্রভাবশালী এক যুবকের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে সংঘটিত হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগী সামাজিক ভাবে বিচার না পেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন।
জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের ধোপাখালী গ্রামের পশ্চিমপাড়ার মৃত আব্দুল মন্ডলের ছেলে ভ্যান চালক বাপ্পারাজ(৩৫) জানান,তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন।
বৃহস্পতিবার(২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি ভ্যান নিয়ে স্থানীয় রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় একই গ্রামের এক নারী পথচারী সাথে তার রাস্তায় সাইড দেয়া নিয়ে কথা হয়। পথচারী এ সময় তাকে বলেন তিনি কানে কম শোনে,বিষয়টি বুঝতে পারিনি। তিনি কানে কম শোনে বলার কারণে আর কোন কথা না বলে ভ্যান নিয়ে চলে যায়।
কিছুক্ষন পর তার গ্রামের মন্ডলপাড়ার আব্দুল খালেকের ছেলে সোহাগ হোসেন(৪০) মোটর সাইকেল যোগে যাওয়ার সময় কোন কারণ ছাড়াই তাকে উদ্দেশ করে নানা আপত্তিকর কথাবার্তা বলতে থাকে। ভ্যান চালক
তাকে প্রতিবাদ করলে সোহাগ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং বাঁশের লাঠি দিয়ে ভ্যানচালককে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে। আকস্মিক এই হামলায় বাপ্পারাজ গুরুতর আহত হন। তার বাম ও ডান হাত এবং বাম কাঁধে মারাত্মক নীলা ফোলা জখম জানান।
বাপ্পারাজ জানান, শারীরিকভাবে মারধর করার পরও অভিযুক্ত সোহাগ হোসেন তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। সে আবারও মারপিট করবে এবং এলাকায় তাকে ভ্যান চালাতে দেবে না বলে হুমকি দিচ্ছে। এতে তিনি ও তার পরিবার আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার তৌফিকুর রহমান বলেন,ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও অমানবিক। একজন সাধারণ ভ্যানচালককে এভাবে মারধর করার কোনো যৌক্তিকতা
নেই। আমি বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু অভিযুক্ত সোহাগ হোসেন আলোচনায় বসতে রাজি হয়নি। ফলে সমঝোতার চেষ্টা ভেস্তে যায়। পরে আমি ভুক্তভোগী পরিবারকে থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দিই। ঘটনার বিষয়ে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস
সাংবাদিকদের বলেন,ভ্যানচালক বাপ্পারাজ আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ হামলার ঘটনায় স্থানীয় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, দরিদ্র ভ্যানচালককে নির্যাতনের সাথে জড়িতদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, নইলে এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট হতে পারে।