জামায়াত ক্ষমতায় গেলে ধরনের দুর্নীতি জাদুঘরে পাঠানো হবে।
জীবননগর অফিস:
চুয়াডাঙ্গা-২ (জীবননগর-দর্শনা-দামুড়হুদা) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ও জেলা আমীর এডভোকেট রুহুল আমিন জীবননগর পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ, পথসভা ও যোগদান অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তিনি পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের গণমানুষের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন।
বিকেল ৪টার দিকে তিনি নতুন তেতুলিয়া গ্রামে মহিলা সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। সেখানে উপস্থিত নারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন— “আমরা সুযোগ পেলে নিজের আখের গোছাতে আসিনি, বরং আল্লাহর আইন ও রাসুলুল্লাহ (সা.) এর আদর্শ বাস্তবায়ন করতে চাই। জনগণ আমাদের কাছে শাসক নয়, বরং সেবক হিসেবে পাবে।”
এরপর বাদ মাগরিব ইসলামপুর মোড়ে অনুষ্ঠিত এক পথসভায় তিনি আরও বলেন, “যারা আপনাদের বন্ধু হবে না, তাদের প্রত্যাখ্যান করুন। আমরা আপনাদের প্রকৃত বন্ধু হতে চাই। জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে দেশে উন্নয়ন ও দুর্নীতি একসাথে চলবে না। সব ধরনের দুর্নীতি জাদুঘরে পাঠানো হবে। টাকা-পয়সা ছাড়াই শিক্ষিত তরুণ-যুবকদের চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। মানুষের হক তার দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।”
তিনি আরও প্রতিশ্রুতি দেন— দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, জনগণের অধিকার সুরক্ষা এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনই হবে জামায়াতে ইসলামী সরকারের মূল লক্ষ্য।
এর আগে দুপুরে জীবননগর পৌর যুব বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এক যোগদান সভায় অংশ নেন জেলা আমীর রুহুল আমিন। ওই অনুষ্ঠানে পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে শতাধিক ব্যক্তি তার হাতে শপথ নিয়ে জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন। নতুন কর্মী-সমর্থকদের হাতে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পেশাজীবী বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক খলিলুর রহমান, জেলা তারবিয়াত সম্পাদক জিয়াউল হক, জেলা জামায়াতের মাজলিসুল মোফাসসিরিন সভাপতি মাওলানা হাফিজুর রহমান, উপজেলা আমীর মাওলানা সাজেদুর রহমান, উপজেলা নায়েবে আমীর হাফেজ বেলাল হোসেন ও সাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, উপজেলা প্রচার ও আইটি সম্পাদক হারুন অর রশীদ, বায়তুলমাল সম্পাদক আসাবুল হক মল্লিক, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন, কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুস সালাম, পৌর আমীর মাওলানা ফিরোজ হোসেন, উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি মাজেদুর রহমান লিটন, সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম, জামায়াত নেতা অধ্যাপক আবু বকর সিদ্দিক, শফিকুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা সিরাজুল ইসলাম ও পৌর যুব সভাপতি আরিফ জোয়ার্দার।
দিনব্যাপী এসব কর্মসূচিতে স্থানীয় জনতার ব্যাপক উপস্থিতি দেখা যায়। নেতারা দাবি করেন, জীবননগর-দর্শনা ও দামুড়হুদা অঞ্চলে জামায়াতে ইসলামী প্রতিদিনই গণমানুষের আস্থা অর্জন করছে। আসন্ন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে তারা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবেন।