এক মা একসাথে জন্ম দিলেন ১৮টি জমজ সন্তান

আবু সাইদ শওকত আলী,বিশেষ প্রতিনিধি:-

চট্টগ্রামের রাউজানে এক মা একসাথে জন্ম দিলেন ১৮টি জমজ সন্তান। পুরো দেশ ও বিশ্বকে অবাক

করে দেওয়া এই খবর মুহূর্তেই হয়ে উঠল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা বলছেন—এ ঘটনা পৃথিবীর বিরলতম ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি, আর সাধারণ মানুষ একে দেখছে মাতৃত্বের মহিমার সর্বোচ্চ রূপ হিসেবে।

যে মা একসাথে ১৮টি সন্তান জন্ম দিলেন, তাঁর সাহস, ধৈর্য ও মানসিক শক্তি সত্যিই অলৌকিক।

একজন নারী একসাথে একটি বা দুটি সন্তান জন্ম দেন। কখনও কখনও তিন বা চার সন্তান জন্মের

ঘটনা শোনা যায়, তবে একসাথে ১৮ সন্তান জন্ম

দেওয়া শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা পৃথিবীর ইতিহাসেই নজিরবিহীন। এই মা এক লাফে ঢুকে পড়েছেন বিশ্ব রেকর্ডের পাতায়।

সন্তান জন্মের দিনটি যেন ছিল উৎসবের মতো।

হাসপাতালের কক্ষে ছিল অবিশ্বাস আর উত্তেজনার আবহ। চিকিৎসকরা ধাপে ধাপে প্রতিটি নবজাতককে

বের করে আনছিলেন, আর সবাই নিঃশ্বাস রুদ্ধ করে অপেক্ষা করছিল পরের অলৌকিক মুহূর্তের। একে একে ১৮টি নবজাতক জন্ম নেওয়ার পর সেখানে

উপস্থিত প্রত্যেকেই বুঝলেন, তাঁরা প্রত্যক্ষ করছেন ইতিহাসের অংশ। নার্স ও ডাক্তারদের চোখে ছিল

আনন্দাশ্রু, পরিবারের লোকজনের মুখে ছিল অশেষ বিস্ময়।

এই মায়ের মাতৃত্ব আজ নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত হয়েছে। তিনি শুধু সন্তান জন্ম দেননি, তিনি দেখিয়েছেন নারীর অসীম শক্তি, সহ্যশক্তি ও মমতার প্রতিচ্ছবি। তাঁর শরীর ও মনকে দিয়ে গড়ে উঠেছে এক অভূতপূর্ব

ইতিহাস। তিনি হয়ে উঠেছেন এক অনন্য দৃষ্টান্ত, যাঁকে মানুষ আগামী শতাব্দী ধরে স্মরণ করবে।

১৮টি ছোট্ট প্রাণ এখন যেন সবার আশার প্রদীপ। তাদের কচি কান্না আর ছোট্ট হাত-পা যেন পুরো

পৃথিবীকে ছুঁয়ে দিয়েছে। এই নবজাতকরা একদিন বড় হয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখুক—এটাই এখন প্রত্যেক মানুষের প্রার্থনা।

চিকিৎসকরা বলছেন, এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত বিরল হলেও এটি প্রমাণ করে যে, প্রকৃতি কতটা শক্তিশালী এবং জীবনের রহস্য কতটা অগাধ।

একদিকে যেখানে চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য এটি এক বিস্ময়কর গবেষণার বিষয়, অন্যদিকে সাধারণ

মানুষের কাছে এটি হয়ে উঠেছে ভালোবাসা, ত্যাগ আর আনন্দের প্রতীক।

গ্রামের সাধারণ ঘরের এক নারী হয়তো কল্পনাও করতে পারেননি, একদিন তিনি হয়ে উঠবেন বিশ্ব

সংবাদ শিরোনাম। এখন তিনি শুধু একজন মা নন, তিনি ইতিহাসের অংশ। তাঁর নাম উচ্চারিত হবে বিস্ময়, শ্রদ্ধা আর মমতার সাথে।

এই মায়ের কাহিনি শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বকে

জানিয়ে দিল—মাতৃত্বের শক্তি অসীম, ভালোবাসার শক্তি অপরাজেয়, আর মানবতার ইতিহাসে নারীই আসল স্রষ্টা।

    

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *