জীবননগর অফিস:-
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কেন্দ্রিয় কার্যালয়ে বুধবার (১ অক্টোবর ২০২৫) সকাল ১০টায় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদের সাথে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলার বিএনপি নেতৃবৃন্দ একান্ত রাজনৈতিক আলোচনায় মিলিত হন।
এ আলোচনায় জীবননগর-দামুড়হুদা উপজেলার সকল নেতাকর্মিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাহমুদ হাসান বাবু খানের পক্ষের কাজ করার দৃঢ় অঙ্গিকার। আলোচনায় অংশ নেন— দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন খান খোকন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ময়েন উদ্দিন,
জীবননগর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান ডাবলু এবং নতিপোতা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম। সূত্র জানায়, এ বৈঠকে আসন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি, দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ, তৃণমূল পর্যায়ে
বিএনপিকে আরও গতিশীল করার কৌশল এবং সরকারের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনকে জোরদার করার নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়। বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনকে কেন্দ্র করে বিএনপির সাংগঠনিক প্রস্তুতি ও জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
রুহুল কবির রিজভী বিএনপির নেতা-কর্মীদের প্রতি ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন,“গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় আমাদের তৃণমূল নেতাকর্মীদের ঐক্য, সাহস ও ত্যাগই হবে প্রধান শক্তি।
” তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিএনপির চলমান আন্দোলনকে সফল করতে সংগঠনের প্রতিটি ইউনিটকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।
বৈঠকে উপস্থিত স্থানীয় নেতারা তাদের নিজ নিজ এলাকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি, নেতাকর্মীদের সমস্যা ও সাংগঠনিক সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরেন। তারা জানান, তৃণমূলে বিএনপির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আন্দোলনের প্রতি সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা দিন দিন বাড়ছে।
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও যুবদলের আহবায়ক ময়েন উদ্দিন ময়েন বলেন,কেন্দ্রিয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সাথে আমাদের বৈঠকে এলাকার রাজনীতি নিয়ে কথা হয়েছে। দলকে
আরো সুসংগঠিত করতে এবং আগামী নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিজয় সুনিশ্চিত করতে মাঠে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে বলেন। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের প্রার্থী মাহমুদ হাসান খান বাবু ভাই সম্পর্কে রিজভী সাহেবের ধারণা অত্যন্ত স্বচ্ছ। তাকে বিজয়ী করতে সবাইকে এখন থেকে মাঠে কাজ করাও নির্দেশ দেন।
জীবননগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন খান খোকন বলেন, “আমরা নেতাকর্মীদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে মাঠে আছি। জনগণও আমাদের সাথে আছে। কেবল একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ পেলে বিএনপি আবার জনগণের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠবে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিএনপির তৃণমূলের সাথে কেন্দ্রীয় নেতাদের এ ধরনের নিয়মিত যোগাযোগ আসন্ন আন্দোলন ও সম্ভাব্য নির্বাচনী প্রস্তুতিকে আরও সুসংগঠিত করবে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এ বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।