জীবননগর অফিস:-
অতিথি পাখি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার দাবিতে চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সচেতনতামূলক সভা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টায় বসুন্ধরা শুভসংঘ, জীবননগর উপজেলা শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
এতে প্রকৃতিপ্রেমী তরুণ-তরুণী,বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য,সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা অতিথি পাখি শিকার বন্ধ,জলাভূমি ও বনাঞ্চল সংরক্ষণ এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষার দাবিতে ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, প্রতিবছর শীত মৌসুমে দূর-দূরান্তের বিভিন্ন দেশ থেকে নানা প্রজাতির অতিথি পাখি জীবননগর উপজেলার নদী,বিল,খাল ও জলাশয়ে আশ্রয় নেয়। এসব পাখি প্রকৃতির স্বাভাবিক ভারসাম্য রক্ষা ও পরিবেশগত শৃঙ্খলা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু অবৈধ শিকার, জলাশয় দখল ও ভরাট, বন উজাড় এবং পরিবেশ দূষণের কারণে এসব অতিথি পাখির নিরাপদ আবাস আজ মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়েছে।
বক্তারা আরও বলেন,অতিথি পাখি নিধন কেবল একটি অপরাধ নয়, এটি পরিবেশ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতি চরম অবহেলা। পাখি শিকার বন্ধে বিদ্যমান বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি অত্যন্ত জরুরি। একই সঙ্গে জলাভূমি সংরক্ষণ, বৃক্ষরোপণ এবং পরিবেশবান্ধব কর্মকাণ্ডে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রাণীবিদ্যা প্রভাষক এইচ এম শামসুজ্জামান, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন, কালের কণ্ঠের জীবননগর প্রতিনিধি ও বসুন্ধরা শুভসংঘের উপদেষ্টা জহিরুল ইসলাম, আইসিটি শিক্ষক নুর কুতুল আলম,আলোকচিত্রী টুটুল নেছার, সাংবাদিক এম আর মুকুল এবং স্বেচ্ছাসেবক সামিউল ইসলাম অভি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বসুন্ধরা শুভসংঘ, জীবননগর উপজেলা শাখার সভাপতি শামসুল আলম এবং সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. মামুন হোসেন। এ সময় উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলামসহ বন বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে পাখি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সরকারের চলমান উদ্যোগ সম্পর্কে আলোচনা করেন।
কর্মসূচি শেষে অংশগ্রহণকারীরা অতিথি পাখি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সামাজিক আন্দোলন জোরদার, নিয়মিত প্রচার-প্রচারণা চালানো এবং ভবিষ্যতে আরও কার্যকর কর্মসূচি গ্রহণের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।