আবু সাইদ শওকত আলী,বিশেষ প্রতিনিধি:-
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার সলিমুন্নেছা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী আসমিন সুলতানা অথৈয় পরীক্ষার হলে গিয়ে দেখেন,
তার নিবন্ধিত বিষয় কৃষিশিক্ষার পরিবর্তে প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছে গার্হস্থ্য অর্থনীতির।
বিষয় পরিবর্তনের ঘটনা নিয়ে শিক্ষার্থী ও তার অভিভাবকের পক্ষ থেকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত ভুলের অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অথৈয় (রেজি নং- ২২১৩৫৭৫৬০১) জানান,
তিনি ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে মানবিক বিভাগে অধ্যয়নরত ছিলেন এবং নবম ও দশম শ্রেণিতে নিয়মিতভাবে কৃষিশিক্ষা ও অর্থনীতি বিষয়ে পাঠ গ্রহণ করেছেন।
অথচ পরীক্ষার হলে গিয়ে বুঝতে পারেন, তার বিষয় পরিবর্তন হয়ে গেছে। বাসায় ফিরে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, আরও একটি বিষয়েও একই ধরনের পরিবর্তন হয়েছে।
অথৈয়ের দাবি, “আমার সাথে ইচ্ছাকৃতভাবে এমনটি করা হয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার অনিয়ম,
দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে যে আন্দোলন হয়, আমি সেখানে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিই।
সেই থেকেই হয়তো প্রতিহিংসা থেকে এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।”
অথৈয়ের বাবা আব্দুল আলিম বলেন, “আমার মেয়ে বিদ্যালয়ের অনিয়মবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল। সে সময় থেকেই প্রধান শিক্ষিকা বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি।
বিষয় পরিবর্তনের ঘটনায় আমরা গভীরভাবে হতাশ ও ক্ষুব্ধ। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বিদৌরা আক্তার বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়।
আমি বিষয় পরিবর্তনের ব্যাপারে কিছুই জানি না।” তবে কিভাবে বিষয় পরিবর্তন হলো সে বিষয়ে তিনি কোনো নির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।
এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেদারুল ইসলাম জানান, “আমি ঘটনাটি সম্পর্কে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে অবগত হইনি।
বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের এমন অভিযোগ ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অস্পষ্ট বক্তব্যের কারণে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন এবং শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।