আবু সাইদ শওকত আলী,বিশেষ প্রতিবেদক:-
সাংবাদিকতা নিঃসন্দেহে পৃথিবীর অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ এবং মর্যাদাপূর্ণ পেশা।
সত্য ও ন্যায়ের পথে থেকে সংবাদ পরিবেশন করার দায়বদ্ধতা এই পেশার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
তবে এই দায়িত্ব পালনের পথে সাংবাদিকদের প্রায়ই নানা ধরনের হুমকি, হামলা ও মামলার মুখোমুখি হতে হয়।
একজন সাংবাদিক যখন এই পেশা বেছে নেন, তখন তিনি ও তার পরিবার জানেন সত্য প্রকাশের
ফলে তার ওপর আক্রমণ বা হয়রানির আশঙ্কা থেকেই যায়। তারপরও তারা পেশাদারিত্বের সঙ্গে
দায়িত্ব পালন করে যান, শুধুমাত্র মানুষের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ার ব্রত নিয়ে।
এ কারণে সাংবাদিকদের প্রতি অবৈধ নজরদারি, হুমকি বা আক্রমণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
কেউ যদি নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করেন বা অপকর্মে জড়িত থাকেন, তবে সত্য প্রকাশে
সাংবাদিকের কাজ বন্ধ করা নয়, বরং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাই সঠিক পথ।
মনে রাখা দরকার, সরকারি চাকরির একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ আছে—সাধারণত ৩০ বছর।
একজন জনপ্রতিনিধির, যেমন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কিংবা সংসদ সদস্যের মেয়াদ সর্বোচ্চ
৫ বছর। ভালো কাজের মাধ্যমে তারা পুনরায় মনোনয়ন পেতে পারেন, তবে সেটা কোনোভাবেই আজীবনের নিশ্চয়তা নয়।
অন্যদিকে, একজন সাংবাদিক যদি সততার সঙ্গে কাজ করে এবং তার প্রতিষ্ঠান বা মালিকের সঙ্গে
সুসম্পর্ক বজায় থাকে, তবে তিনি সুস্থ থাকলে আজীবন সাংবাদিকতা করে যেতে পারেন।
এই পেশার স্থায়িত্ব, আত্মত্যাগ ও সামাজিক দায়বদ্ধতাই একে অনন্য মর্যাদায় অভিষিক্ত করে।
সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা,
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করা এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা প্রতিটি
নাগরিক ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কারণ স্বাধীন গণমাধ্যমই একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি।