ময়মনসিংহ অফিস:
মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে আবারও প্রাণঘাতী সড়ক দুর্ঘটনার সাক্ষী হলো ময়মনসিংহ।
এবার তারাকান্দা উপজেলার বাগুন্দা এলাকায় বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও পিকআপ
ভ্যানের ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ৩ জন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
রোববার (২২ জুন) বেলা পৌনে ১২টার দিকে ময়মনসিংহ-শেরপুর মহাসড়কে এ মর্মান্তিক
দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহতরা হলেন—তারাকান্দার পানিহরি গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুসের পুত্র সিএনজি চালক আব্দুল হালিম (৪০), কাকনী
ইউনিয়নের আব্দুল মান্নানের ছেলে রেজওয়ান (২৫) এবং ফুলপুর উপজেলার পয়ারী ইউনিয়নের
সেলিম মিয়ার ছেলে জিহাদ (১৬)। জিহাদ স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. টিপু সুলতান জানান, শেরপুর থেকে ঢাকাগামী একটি ড্রিমল্যান্ড পরিবহনের বাস বিপরীত দিক
থেকে আসা একটি সিএনজিচালিত
অটোরিকশাকে সজোরে ধাক্কা দেয়। দুর্ঘটনার সময় একই লাইনে থাকা আরও একটি দ্রুতগতির
অটোরিকশা, একটি কাভার্ডভ্যান ও একটি হ্যান্ডট্রলিও এতে জড়িয়ে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই
তিনজনের মৃত্যু হয় এবং কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, এটি একটি ত্রিমুখী
সংঘর্ষ। যাত্রীবাহী বাস, পিকআপ ও
সিএনজিচালিত অটোরিকশা একযোগে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রাণঘাতী পরিণতি বয়ে আনে।
উল্লেখ্য, মাত্র দুই দিন আগেই একই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন আরও ১১ জন।
শুক্রবার বিকেলে তারাকান্দায় অ্যাম্বুলেন্স ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন এবং রাত পৌনে ৯টার দিকে ফুলপুরের কাজিয়াকান্দা এলাকায় বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়।
বারবার ঘটে যাওয়া এসব দুর্ঘটনা সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। স্থানীয়রা দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।