বিশেষ প্রতিনিধি:_
‘প্লাস্টিক দূষণ আর নয়, বন্ধ করার এখনই সময়’এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঝিনাইদহে
বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২৫ উপলক্ষে নানা আয়োজনে দিনটি উদযাপন করা হয়েছে।
রোববার (২৯ জুন) সকালে সদর উপজেলার গান্না এলাকার আলহাজ্ব মশিউর রহমান ডিগ্রি কলেজ
চত্বরে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা, র্যালি ও গাছের চারা বিতরণ কর্মসূচি।
আয়োজনে সহযোগিতা করে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ), এবং বাস্তবায়নে ছিল স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা
রুরাল রিকনস্ট্রাকশন ফাউন্ডেশন (আরআরএফ)। আয়োজনে পরিবেশ বিষয়ক সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি শিক্ষার্থী ও স্থানীয়
জনগণের মাঝে সবুজায়নের বার্তা পৌঁছে দেওয়াই ছিল মূল লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্যক্তিত্ব:-
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গান্না পরিবেশ ক্লাবের সভাপতি নায়েব আলী।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ষষ্টি চন্দ্র রায়।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর-এ নবী,
আলহাজ্ব মশিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তফা শাহিদ এবং
আরআরএফ-এর পরিবেশ ও আরইসিপি কর্মকর্তা বাপ্পী কুমার অধিকারী, যিনি পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনাও করেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন,প্লাস্টিক দূষণ বর্তমানে বৈশ্বিক পরিবেশ সংকটের অন্যতম বড় হুমকি। ঘরে ও অফিসে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্যের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব বিকল্প ব্যবহার করতে হবে। বাজারে প্রাপ্য জুট ব্যাগ, কাগজের ব্যাগ, বায়োডিগ্রেডেবল সামগ্রী ইত্যাদিকে উৎসাহিত করতে হবে।তৃণমূল পর্যায়ে সচেতনতা বাড়ানো ও পরিবেশ রক্ষায় তরুণদের সম্পৃক্ত করাও জরুরি।
র্যালী ও চারা বিতরণ:-
আলোচনা সভার শুরুতে কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে একটি পরিবেশবান্ধব র্যালি বের হয়। র্যালিটি
গান্না বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার কলেজে ফিরে আসে। এতে কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, পরিবেশকর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা অংশ নেন।
পরে কলেজের শিক্ষার্থী ও এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে বহুপ্রজাতির গাছের চারা বিতরণ করা হয়। বিতরণকৃত চারাগুলোর মধ্যে ছিল,ফলজ গাছ: আম, কাঁঠাল, লিচু বনজ গাছ: নিম, অর্জুন, রেইনট্রি’ভেষজ গাছ: বহেড়া, হরতকি, নিমপাতা।
স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া:-অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন,এ ধরনের
আয়োজন আমাদের পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন করে তোলে। আমি একটি নিম গাছের চারা নিয়েছি, বাড়িতে লাগাবো।”
স্থানীয় এক প্রবীণ কৃষক বলেন,প্লাস্টিকের ক্ষতি আমরা গ্রামে হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি।
মাঠে প্লাস্টিক ফেলে জমির ক্ষতি হচ্ছে। আজকের আলোচনায় অনেক কিছু জানতে পারলাম।