জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মাধবখালী মাঠে এক মানসিক প্রতিবন্দ্বীর লাশ বাড়ীর অদুরে মাঠের আম গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। পেটের যন্ত্রনা সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে বলেন পরিবারের দাবী। ঘটনাটি শনিবার বিকালে সংঘটিত হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
নিহতের ভাই খোকন মিয়া বলেন,আমার বড় ভাই আশাদুল হক(৫০) দীর্ঘদিন ধরে মাথা ও পেটের রোগে ভুগছিলেন। আমরা তাকে বিভিন্ন নামীদামী ডাক্তারের নিকট নিয়ে চিকিৎসা করিয়েছি। কিন্তু কোন কিছুতেই তাকে পুরোপুরি সুস্থ্য করে তোলা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি তার পেটের যন্ত্রণা মারাত্মক ভাবে বেড়ে যায়। আমরা গত কয়েক দিন আগেও তাকে যশোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করিয়েছি। এই অবস্থায় আমার উক্ত ভাইয়ের লাশ শনিবার বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে আমাদের বাড়ীর অদুরে মাঠের ভিতরে জনৈক রবিউল ইসলামের আম বাগানের একটি গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থা মাঠে কাজ করা লোকজন দেখতে পান। আমরা বিষয়টি টের পেয়ে ভাইয়ের লাশ উদ্ধার করি। আমাদের ধারণা উক্ত ভাই পেটের যন্ত্রণা সইতে না পেরে বাড়ীর সকলের অজান্তে তার ব্যবহৃত গামছা গলায় পেচিয়ে গাছের ডালের সাথে আত্মহত্যা করে। নিহত আশাদুল হক মনোহরপুর ইউনিয়নের মাধবখালী ছটাঙ্গাপাড়ার মৃত হাতেম আলীর ছেলে।
মনোহর ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার মিনারুল ইসলাম বলেন,আশাদুল হক অনেক দিন ধরেই ভুগছিল। এদিকে আশাদুল হকের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় মাঠের একটি আম গাছ থেকে উদ্ধার করেন।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক বলেন,ঘটনার ব্যাপারে কারো কোন আপত্তি না থাকায় এবং নিহতের চিকিৎসা পত্রেও দেখা যায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন। যে কারণে কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে লাশ বিনা ময়না তদন্তে দাফনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।