জীবননগর অফিস:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌর শহরের লক্ষীপুরে অবস্থি দেশ বাংলাঅটো রাইস মিলের ধোঁয়া আর ছাঁইয়ে পরিবেশ মারাত্মক ভাবে বিষিয়ে উঠেছে। অটো রাইস মিলে ধোয়া আর ছাঁইয়ের প্রভাবে পার্শ্ববর্তী সরকারী মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী ও নিকটতম প্রতিবেশীরা বিপাকে পড়েছেন। উড়ন্ত ছাঁই পথচারীদের চোখে মুখে পড়ে চলাচলে মারাত্মক ভাবে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে। অটো রাইস মিলের দুষনে এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,আবাসিক এলাকার বসতিরা অস্বস্তিকর জীবনযাপন করছেন। কিন্তু এসব ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেই অটো রাইস মিল কর্তৃপক্ষের। রাইস মিল স্থাপনে অনুমোদনের আগে ধোয়া ও ছাই নি:সরনের জন্য সাইক্লোন প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করার নিয়ম থাকলেও দেশ রাইস মিলে তার কোন অস্তিত্ব নেই।
এদিকে উক্ত অটো রাইস মিলের ছাঁইয়ে অতিষ্ঠ বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেন,দেশ বাংলা অটো রাইস মিল কর্তৃকপক্ষ ছাঁই নি:সরনের ব্যবস্থা না নিলে তিনি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবেন। বর্তমানে ধান ক্রাশিংয়ের ভরা মৌসুমে অবস্থা ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। অতিষ্ঠ এলাকাবাসী ঘটনার ব্যাপারে সরকারের বিভিন্ন লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জীবননগর পৌর শহররে লক্ষীপুরে প্রায় ১০টি রাইস মিল রয়েছে । এসব মিলের মধ্যে দেশ বাংলা অটো রাইস মিলে আধুনিক কোন ব্যবস্থা না থাকায় এলাকাবাসী মিলের ছাঁই আর ধোয়ায় নাকাল অবস্থায় রয়েছেন।
জীবননগর পৌর শহরের লক্ষীপুর মিলপাড়া একটি জনগুরুত্বপুর্ণ এলাকা এবং বাণিজ্যিক এলাকা হিসাবেও পরিচিত। পাশেই রয়েছে সরকারী আদর্শ মহিলা কলেজ। এ অবস্থার মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা দেশ বাংলা অটো রাইস মিলে ছাঁই ও ধোয়া অপসারনের জন্য সাইক্লোন প্রযুক্তি।
যার ফলে জনবসতিদের পাশাপাশি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা রয়েছেন বিপাকে। মিলটি অব্যবস্থাপনার কারণে আশেপাশের জনবসতিদের চরম দুর্ভোগের মধ্যদিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে। মিলের পাশে বসবাসকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হকের অভিযোগ অটো রাইস মিলের কারণে তার গোটা বাড়ী ছাঁই আর ধোয়ায় একার হয়ে যায়। তার মত এলাকার সব মানুষেরই একই অভিযোগ। কিন্তু এলাকার কোন অভিযোগই মিল কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব না দিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ম্যানেজ করে যেনতেন ভাবে মিলটি পরিচালনা করছেন। তাই তো বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক বলেন এ ভাবে বেঁচে থাকার চেয়ে আত্মহত্যা করে মরা ভাল। তিনি বলেন,মিল কর্তৃপক্ষ দ্রুত তার মিলের ছাঁই ও ধোয়া নি:সরনে কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রন না করিলে তিনি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবেন। তার এমন আকুতি সোস্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
বীর মুক্তযিোদ্ধা সিরাজুল হক অভিযোগ করে বলেন, দেশ বাংলা অটো রাইস মিলের ধোঁয়া ও ছাই পরবিশে মারাত্মক ভাবে বিষিয়ে তুলেছে। কিন্তু এ ব্যাপারে পরবিশে অধিদপ্তরের নেই কার্যকর ব্যবস্থা। তিনি বলেন,মিলের ধোয়া ও ছাঁইয়ে শুধু বাড়ী ঘর ও মানুষে ক্ষতি করছে না,ক্ষতির শিকার হচ্ছে বিভিন্ন ফসল ও ফলের বাগানও। ছাঁই উড়ে চোখে পড়ে অনেক পথচারী চোখ নষ্ট হতে চলেছে। প্রতিবেশীরা তোন চোখের সমস্যা নিয়ে প্রতিনিয়ত অভিযোগ আপত্তি করে আসছেন। মিলের আশে পাশের বাসিন্দাদের ছাই আর ভাত এক সাথে খেতে হয়। অটো রাইস মিলের মালিক বিল্লাল হোসেনকে বার বার বলেও কোন কাজ হয়নি। প্রতিবেশীদের অভিযোগ মিলের ছাঁই উড়ে গিয়া পরিবেশে মারাত্মক দুষণ আমার মানুষের জীবন বিপন্ন হওয়ার ব্যাপারে পৌরসভায় অভিযোগ করেও কোন সাড়া মেলেনি।
এ ব্যাপারে অটো রাইস মিলের মালিক বিল্লাল হোসেন অভিযোগের কথা স্বীকার করে বলেন,আমরা দ্রুতই মেশিন সরিয়ে নেয়ার কাজ করছি।
জীবননগর পৌর সভার মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন,দেশ বাংলা অটো রাইস মিলের মালিকের বিরুদ্ধে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা মৌখিক ভাবে অভিযোগ করেছেন। তবে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।