ছাতক (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা
দেশের প্রথম করোনাযোদ্ধা শহীদ ডা. মঈন উদ্দিনের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে । শহীদ ডা: মঈন উদ্দিন ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে গতকাল শনিবার মরহুমের কবর জিয়ারত ও দুস্থদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করা হয়৷ এ ছাড়া তার পরিবার ও বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে বিভিন্ন মসজিদ বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কর্তব্যরত অবস্থায় করোনা আক্রান্ত হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট থেকে রাজধানীর কুর্মিটোলা হসপিটালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল ভোরে তিনি ইন্তেকাল করেন । বৃহওর সিলেটে গরীবের চিকিৎসক খ্যাত এ মানবতার অকৃএিম বন্ধু ডা: মঈন উদ্দিনের মৃত্যুতে সিলেট সুনামগঞ্জ তথা তার জন্মস্থান ছাতক উপজেলায় শোকের ছায়া নেমে আসে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার মৃত্যুর বিষয়টি গোটা দেশে শোকের ছায়া নেমে আসে।। তার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি এডভোকেট আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পীকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী পৃথক পৃথক ভাবে শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দেন এবং মহান জাতীয় সংসদে শোক প্রস্তাব গ্রহন করা হয়।
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক
মানব দরদী চিকিৎসক মঈন উদ্দিন সর্বমহলে তিনি ‘গরীবের ডাক্তার’ হিসেবে সুখ্যাতি লাভ করেন । প্রতি শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিনে সিলেট থেকে সুনামগঞ্জের ছাতকের নাদামপুরে ছুটে গিয়ে বিনামূল্যে গরিব ও অসহায় রোগীদের ব্যবস্থাপত্র ও ঔষধ প্রদান করে গরীবের চিকিৎসক হিসেবে খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে সর্বএ।
ডা. মঈন উদ্দিন ১৯৭৩ সালের ২ মে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নাদামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামের স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করে তিনি ধারণ নতুন বাজার উচ্চবিদ্যালয় থেকে ১৯৮৮ সালে এসএসসি এবং ১৯৯০ সালে সিলেট এমসি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। একই বছর ভর্তি হন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে। সেখান থেকে ১৯৯৮ সালে কৃতিত্বের সাথে এমবিবিএস পাস করেন। এরপর তিনি এফসিপিএস ও এমডি কোর্স সম্পন্ন করেন।
২২তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষার মাধ্যমে তিনি স্বাস্থ্য ক্যাডারে যোগ দেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজসহ স্বাস্থ্য ক্যাডারে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনের পর ২০১৪ সালের ২০ মে তিনি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজে মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পদে যোগ দেন। মৃত্যুর পুর্ব পর্যন্ত তিনি এ পদে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুকালে তিনি চিকিৎসক স্ত্রী, ২ ছেলে সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছে।