চুয়াডাঙ্গায় সরকারি প্রকল্পের কাজ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা লুট প্রতারক চক্রের তিন সদস্য গ্রেফতার

একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পেকোটি টাকার কাজ বাগিয়ে  দেয়ার  নামে মেহেরপুরের মেশিনারিজ ব্যবসায়ী আলী হোসেনের  নিকট   ৩৩ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করে চক্রটির সদস্যরা।

জীবননগর অফিস:

ব্যবসায়ীর সাথে প্রতারনার অভিযোগে মামলার ঘটনায় প্রতারক চক্রের তিন সদস্য গ্রেফতার করেছেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ। চুয়াডাঙ্গায় সরকারি প্রকল্পে কাজ বাগিয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এক ব্যবসায়ীর নিকট থেকে আট লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা শহরের ঈদগাহ পাড়ার একটি বাসা থেকে ওই  তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান সদর থানার ওসি মাহাব্বুর রহমান। পরে তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করা হয়।

গ্রেপ্তার তিনজন হচ্ছে-, শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার ঘরিসার গ্রামের উজ্জ্বল চৌধুরী (৫৪), কুষ্টিয়া জেলার হাউজিং এলাকার হাসানুজ্জামান (৪৬) এবং গোপালগঞ্জের মোকছেদপুরের মাহবুব আলম (৪৩)।

এই তিনজন একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য জানিয়ে ওসি বলেন, “একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে ৬ কোটি টাকার কাজ পাইয়ে দেয়ার জন্য মেহেরপুরের মেশিনারিজ ব্যবসায়ী আলী হোসেনের কাছে ৩৩ লাখ টাকা ঘুস দাবি করে চক্রটির সদস্যরা। প্রথম ধাপে ৮ লাখ টাকাও দেন ওই ব্যবসায়ী। তিনমাস আগে চুয়াডাঙ্গা শহরের ঈদগাহ পাড়ায় একটি বাসায় হিউম্যান ইমপ্রুভমেন্ট ফাউন্ডেশন নামে চক্রটি একটি অফিস খুলে বসে বলে জানান ওসি।

তিনি বলেন, “এই কোম্পানির মাধ্যমে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প কাজ পাইয়ে দিতে সহায়তা করা হয় বলে প্রচার করা হচ্ছিল। এই প্রলোভন দেখিয়ে মেহেরপুর জেলার মেহেরপুর ডিজিটাল মেশিনারিজের স্বত্বাধিকারী আলী হোসেনের সঙ্গে যোগযোগ করেন চক্রের সদস্যরা। আলী হোসেনকে বলা হয় একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের জন্য প্রচুর পরিমাণ মেশিন কিনতে হবে। যার ব্যয় ৬ কোটি টাকা। এই ৬ কোটি টাকার কাজ পেতে হলে ৩৩ লাখ টাকা ঘুস দিতে হবে।”

এ বিষয়ে আলী হোসেনের সঙ্গে হিউম্যান ইমপ্রুভমেন্ট ফাউন্ডেশন একটি চুক্তিও করে। চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম ধাপে আট লাখ টাকা হিউম্যান ইমপ্রুভমেন্ট ফাউন্ডেশনের হাতে তুলেও দেন আলী হোসেন। কিন্তু এরপর বিষয়টি নিয়ে তার সন্দেহ হলে তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় জানান।

ব্যবসায়ীর অভিযোগ পেয়ে হিউম্যান ইমপ্রুভমেন্ট ফাউন্ডেশনের অফিসে অভিযান চালায় সদর থানা পুলিশ। এসময় চক্রটির তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওসি মাহাব্বুর রহমান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছে তারা একটি চক্রের সদস্য। সারাদেশেই তাদের নেটওয়ার্ক রয়েছে। বাকি সদস্যদের ধরতে অভিযান চলছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *