জীবননগর অফিস:-
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার রায়পুর কামারপাড়া নামক মাঠে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গড়ে ওঠা পেয়ারা বাগান কেটে সাবাড় করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কৃষকের প্রায় দু’লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনাস্থলের জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এ অবস্থায় ঘটনাটি রোববার(২৭ আগষ্ট) ভোরের দিকে সংঘটিত হয় । এ ঘটনায় জীবননগর থানায় মামলা করা হয়েছে।
জীবননগর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের রায়পুর কামারপাড়া মৃত আব্দুল গফুর মন্ডলের ছেলে রুহুল আমিন দলু অভিযোগ করে বলেন,আমার বাড়ী সংলগ্ন স্থানে মাঠের এক বিঘা জমিতে গত আড়াই বছর আগে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পেয়ারা বাগান গড়ে তুলি। কিন্তু জমির একাংশ আমার এক বোন অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। আমরা উক্ত বিক্রির ব্যাপারে আপত্তি তুলে আমরা আদালতে হকসেবা মামলা করি। আদালত জমির ব্যাপারে প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাও জারি করেন।
কিন্তু প্রতিপক্ষ রায়পুর বাজারপাড়ার রহুল কুদ্দুস মোল্যার ছেলে সাদ্দাম হোসেন,আবু হুরাইরা এবং তাদের আত্মীয় আব্দুল হামিদের ছেলে কবির রোববার( ২৭ আগষ্ট) ভোর ৫টার দিকে হাতে ধারালো দা নিয়ে ৩০ শতক জমির মধ্যে ২০ শতক জমির ফলন্ত পেয়ারা গাছ কেটে সাবাড় করে দেয়। তারা প্রায় ১৫০ টি পেয়ারা গাছ কেটে দু’লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করে।
অভিযুক্ত কবির হোসেন বলেন,আমি তো ঘুম থেকেই সাতটার পরে উঠি। আমি কি ভাবে গাছ কাটতে গেলাম? আমাদের বিরুদ্ধে বিরোধপুর্ণ জমি থেকে ভোর রাতে পেয়ারা গাছ কাটার অভিযোগ সম্পুর্ণ ভাবে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। রুহুল আমিন দলুরা বরং মামলায় সুবিধা নেয়ার জন্য তারা নিজেরাই গাছ কেটে আমাদেরকে দোষারোপ করছে।
রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর্জা তাহাজ্জুত হোসেন বলেন,আমি ঘটনাটি শুনেছি। উভয়পক্ষই আমার নিকট এসেছিল। ফলন্ত পেয়ারা গাছ কেটে সাবাড় করার ঘটনাটি অত্যন্ত দু:খজনক। ঘটনাটি যারাই ঘটিয়েছে তাদের শাস্তি হওয়া দরকার।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ জাবিদ হাসান বলেন,ঘটনার ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তবে এমন ঘটনা কারো কাম্য নয়।