দর্শনা গবরগাড়ায় প্রবাসীর স্ত্রী তিন সন্তানের জননীকে বিয়ের পর নিজ স্ত্রীকে দুই সন্তানসহ তালাক মানবেতর জীবনযাপন

জীবননগর অফিস:-

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা গবরগাড়া গ্রামের প্রবাস ফেরত সুমন হোসেন দু’পুত্র সন্তানসহ নিজ স্ত্রীকে তালাকের পর একই গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রী তিন সন্তানের জননীকে বিয়ে রঙ্গলীলায় দিন কাটালেও মানবেতর জীবনযাপন করছেন নিজের দুই স্কুল পড়ুয়া ছেলে ও স্ত্রী।

সন্তানদের দু:খে গ্রামের মানুষ দু:খ পেলে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে আরাম আয়েশে দিন কাটাচ্ছেন পাষন্ড সুমন হোসেন। এ ঘটনায় নির্যাতিতা জোসনা খাতুন ও তার দু’ছেলে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার অন্তর্গত দর্শনা থানাধীন গবরগাড়া গ্রামের মাঝপাড়ার জোসনা খাতুন বলেন,আমাকে সুমন হোসেন ভালবেসে বিয়ে করেছিল। বিয়ের পর আমাদের দাম্পত্য জীবনে দুইটি ছেলে সন্তান রয়েছে। সুমন হোসেন একই গ্রামের সিটু বেপারীর ছেলে। আমার সাথে সুমন বিয়ে করার সময় তাদের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল।

আমার বাবা-মা তাকে টাকা দিয়ে বিদেশ পাঠিয়ে দেয়। পরে তার অবস্থার উন্নতি হলে বিদেশ থেকে বাড়ী এসে গ্রামের প্রবাসী কুড়নের স্ত্রী আসমা খাতুনের(৩৫) সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে এবং গোপনে তারা বিয়ে করে। এ বিয়ের পরই আমার ও আমার সন্তানদের প্রতি সুমন অবহেলা অবজ্ঞা করতে থাকে।

এক পর্যায়ে তাদের বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে সুমন আমাকে দুই ছেলেসহ আমাকে তালাক দেয়। সুমন আমাকে তালাক দেয়ার পর আমি দুই ছেলেকে নিয়ে সুমনের বাড়ীতেই আছি। কিন্তু সুমন দুই ছেলেকে গত দু’বছর ধরে কোন ধরনের খোঁজখবর রাখে না। আমার ভাইয়েরা আমাকে যা দেয়,তা দিয়ে দু’ছেলেকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমি সুমনের বিচারের দাবীতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা কছি।

গবরগাড়া গ্রামের একাধিক ব্যক্তি অত্যন্ত ক্ষোভের সাথে অভিযোগ করে বলেন,দুনিয়া অনেক নির্মম,নির্দয় বাবা দেখেছি। তবে সুমনের মত পাষন্ড বাবা দেখিনি। নিজের বউ ছেলেদের অবহেলায় ফেলে রেখে,অন্যের বউয়ের সাথে বিয়ে সন্তানদের সামনেই বেহায়াপনা করতে কাউকে দেখা যায়নি। তারাও সুমনের বেপরোয়া আচরনের বিরুদ্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার ফারুক হোসেন বলেন,সুমন যে কাজ করেছে,তা গ্রামের কেউ মানতে পারছে না। সুমন তার দু’ছেলেসহ প্রথম স্ত্রী জোসনাকে তালাক দেয়ায় তারা এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে। আমরা সুমনকে তার দুই স্ত্রীকে রেখে ভাল ভাবে সংসার চালানোর জন্য অনুরোধ করেছি। কিন্তু সুমন গ্রামের কারো কথায় গুরুত্ব দেয়নি,বরং তার বেপরোয়া আচরন সমাজকে ক্ষুব্ধ করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *