দর্শনায়সহ সারাদেশে সবজি সকল নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মুল্যে বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ নাকাল অবস্থা

দর্শনা অফিস:-

বেগুনে আগুন ঝাল পিয়াঁজে ঝাঁজ। কাঁচা বাজার কেনাকাটা করতে গিয়ে সাধারণ ক্রেতাদের নাকাল হতে হচ্ছে। সাধারণ খেটে খাওয়া নি¤œ মধ্যেবিত্ত মানুষ অসহায়।  শুক্রবার দর্শনা পুরাতন বাজার ঘুরে দেখা গেছে।

দর্শনায় খুচরা কাঁচা তরিতকারী মুল্যে এক এক জন একাক রকম ইচ্ছেমত দাম হাকাচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষকে ঠকানো হচ্ছে নানা ভাবে। শুক্রবার দর্শনা পুরাতন খুচরা বাজারের কয়েকটি সবজি দোকান রেল বাজার পাইকারী বাজারের সন্তোষ পুর ভান্ডারের মালিক জাহিদুল ইসলাম পলাশ এন্টারপ্রাইজ এর পলাশ জানান গেছে দিনে দিনে সবজির মুল্যে বৃদ্ধি পাচ্ছে তবে শীতের সবজি আমদানী হলে সবজির মুল্যে কুমে যাবে।

বিষয় দর্শনা শ্যামপুর গ্রামের ভ্যান চালক আকরাম হোসেন জানান আমর সংসারে স্ত্রী ছেলেসহ জন। প্রতিদিন ভ্যান চালিয়ে ৩০০ থেকে ৪০০ শত টাকা আয় হয়। তা দিয়ে চাউল,ডাউল, ঝাললবন সবজি এক পোয় মাছ ক্রয় করে টাকা থাকে না। আত্মীয়সজন এলে ধারদেনা করতে হয়।

এছাড়া মংস খাওয়ার কথা ভাবা যায় না। পরানপুর গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে কাঠ মিস্তি আহম্মদ আলী লুৎফর আলীর ছেলে রং মিস্ত্রী সোহেল বলেন, সারাদিন কাজ করে ৫০০ টাকা আয় হয় আবার কোনদিন কাজ হয় না। তখন ছেলে মেয়েকে চাল সবজি বাজার করে খায়ানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। বাজারে যেভাবে সকল জিনিসির মুল্যে বৃদ্ধি হয়েছে। মাংসের কথা দুরে থাক।

পল্টি মুগীর মাংসের মুল্যে মাছের মুল্যে বৃদ্ধি পেয়েছে। মুরগীর ডিম ১৩/১৪ টাকা প্রতি পিচ। ফলে এভাবে কি চলা যায়। গত একমাস আগে ডিম,পেঁয়াজ আলুর মুল্যে সরকার নির্ধারণ করে দিলেও তার প্রভাব একদিনের জন্য বাজারে প্রভাব পড়েনি। সরকারী সংস্থা সারাদেশে কাচাঁবাজার গুলোতে অভিযান পরিচালনা চালিয়েছে। ফলে দিন কিছুটা স্থিতিশীল থেকে আবার মুল্যে বাড়তে শুরু করেছে।

ফলে সীমিত আয়ের মানুষের আয়ের সাথে ব্যয় মেলাতে হিমশীম খেতে হচ্ছে। কিছু সুযোগ সন্ধানী ব্যবসায়ী তাদের ইচ্ছেমত সবজিসহ বিভিন্ন জিনিসের মুল্যে বৃদ্ধি করে চলেছে। যদিও অসাধু সিন্ডিকেটের তৎপরতা বন্ধে বানিজ্য মন্ত্রানালয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মনিটরিং কমিটির সঙ্গে পুলিশও যুক্ত থাকবে বলে গত বৃস্পতিবার গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে। নি¤œ দর্শনা বাজারের মুল্যে তালিকা দেওয়া হলো।

 কাাঁচা সবজি          পাইকারী বাজার মুল্যে     খুচরা বাজার মুল্যে

পাতা কপি            মল্যে ২০/-           কেজি প্রতি ৪০ টাকা

    কাকরুল          কেজি প্রতি ৫০টাকা        কেজি প্রতি ৬০ টাকা

গোল আলু            কেজি প্রতি ৪২ টাকা        কেজি প্রতি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা

বেগুন    কেজি প্রতি ৬০ টাকা        কেজি প্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা

পটল      কেজি প্রতি ৩৫ টাকা        কেজি প্রতি ৩৫  থেকে ৫০ টাকা

কলা       কেজি প্রতি ৪০ টাকা        কেজি প্রতি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা

কাঁচা ঝাঁল             কেজি প্রতি ১১০ টাকা     কেজি প্রতি ১২০ থেকে ২৫  টাকা

শোশা     কেজি প্রতি ৩০ টাকা        কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা

আমড়া  কেজি প্রতি ৩০ টাকা        কেজি প্রতি ৪০ টাকা

পেঁেপ  কেজি প্রতি টাকা           কেজি প্রতি ২০ টাকা

পিয়াজ   কেজি প্রতি দেশি ৮০ টাকা             কেজি প্রতি ৮৫ থেকে ১০০ টাকা

পিয়াজ ভারতীয়  কেজি প্রতি ৭০ টাকা        কেজি প্রতি ৮০ টাকা

ফুল কপি               কেজি প্রতি ৩০ টাকা        কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৭০ টাকা

রসুন      কেজি প্রতি ২১০ টাকা     কেজি প্রতি ২৫০ টাকা

আদা      কেজি প্রতি ৩৫০ টাকা     কেজি প্রতি ৪০০ টাকা

ঝিংগা    কেজি প্রতি ৩০ টাকা        কেজি প্রতি ৫০ টাকা

মিষ্টি কুমড়া         কেজি প্রতি ২০ টাকা        কেজি প্রতি ৫০ টাকা

এসব কাঁচা সবজি ক্রয় করতে গিয়ে সাধারণ মুনুষকে হিশিম খেতে হচ্ছে। তবে প্রসাশনের পক্ষ থেকে যদি সবজি বাজার নিয়মিত মনিটরিং করা হতো তাহলে হয়ত ক্রেতা সাধারণ কিছুটা হলেও স্বস্থি পেত বলে ক্রেতা সাধারণ মনে করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *