জীবননগর অফিস:-
বিয়ের সব আয়োজন প্রায় সম্পন্ন। কনের বাড়িতে কিছুক্ষণ পরই হাজির হবে বরপক্ষ। তার কিছুক্ষণ পরেই শুরু হবে বিয়ের মূল আনুষ্ঠানিকতা। চতুরদিকে চলছে ধুমধাম সব আয়োজন। কোন কিছুতেই কমতি নেই।
তবে তার আগেই বাল্যবিয়ে হচ্ছে জেনে সেখানে গিয়ে হাজির হয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিষয়টি বুঝতে পেরে কনের বাড়ি থেকে দৌড় দেয় কনেপক্ষ। শেষ পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত বন্ধ করে দেয় স্কুলপড়ুয়া অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ে। এছাড়া অর্থদণ্ড করা হয় কনের বাবাকে।
শুক্রবার দুপুর একটার দিকে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বাঁকা গ্রামের আব্দুল হালিমের বাড়িতে এই অভিযান পরিচালনা করেন জীবননগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তিথি মিত্র।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বাঁকা ইউনিয়ন বাঁকা গ্রামের পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা ও স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর এক ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন করা হয়। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিষয়টি টের পেয়ে বাড়ির সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে মেয়ের পক্ষ লোকজন পালিয়ে যায়। বিয়ে বাড়িতে যত্রতত্র খাবার ও চেয়ার টেবিল পড়ে থাকতে দেখা যায়।
জীবননগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তিথি মিত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাল্য বিবাহ আয়োজন করায় সেখানে ভ্রম্যমান আদালত অভিযান পরিচালনা করে বিয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ করা হয়।
তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ওই ছাত্রীর বয়স ১৮ হওয়ার আগ পর্যন্ত বিয়ে দেবে না মর্মে তার বাবার কাছ থেকে মুচলেকা নেয়া হয়েছে। একই সাথে বিয়ের আয়োজন করার অপরাধে মেয়ের বাবাকে এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।